কক্সবাজার প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ২৮৭ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক ও কাটাতারের বেড়া নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছেন। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাটাতারের বেড়া নির্মাণের প্রক্রিয়া। প্রথম পর্যায়ে উখিয়ার কুতুপালং ও টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা বড় দুটি ক্যাম্পে কাটাতারের বেড়া নির্মাণ হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাবো।
রবিবার দুপুরের দিকে কক্সবাজারের রামু সেনানিবাসের ১০ পদাতিক ডিভিশনের ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি-৬ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন এবং ১৩ ও ১৪ বীর’কে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান এ সব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রশংসনীয় কার্যক্রম প্রদর্শনের মাধ্যমে এসব রেজিমেন্ট রেজিমেন্টাল কালার পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্তি যে কোনো ইউনিটের জন্য একটি বিরল সন্মান এবং পবিত্র আমানত।
এ সময় রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো: মাঈন উল্লাহ চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির স্থায়ী সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সংসদ সদস্য জাফর আলম, এয়ার কমোডর মুহাম্মদ শাফকাত আলী, ডিজিএফআই কক্সবাজার অধিনায়ক কর্নেল আবুজার আল জাহিদ, শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মাহবুব আলম তালুকদার, জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনসহ ইউএনএইচসিআর, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গসহ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, শনিবার বিকেলে সেনাপ্রধান পরবারসহ মহেশখালী-সোনাদিয়া নৌ-রুটে সমুদ্রে ভ্রমণে যান। এ সময় সেনা প্রধানের সঙ্গে সফরসঙ্গী ছিলেন জিওসি ১০ পদাতিক ডিভিশনের কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী, ডিজিএফআই কক্সবাজার অধিনায়ক কর্নেল আবুজার আল জাহিদ, ফারহান ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস এর কর্ণধার হোসাইন ইসলাম বাহাদুর, জিএম-সৈয়দ হোসেনসহ বর্তমান ও সাবেক ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারবর্গ।
ভ্রমণ সম্পর্কে ১০ পদাতিক ডিভিশনের কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী বলেন, আগে সোনাদিয়া ও মহেশখালী দ্বীপে বড় জাহাজে ভ্রমণ করতে পারত না পর্যটকরা। এখন পর্যটকরা স্বল্প খরচে সোনাদিয়া দ্বীপসহ কয়েকটি এলাকায় ভ্রমণ করতে পারবে। বর্তমানে সোনাদিয়া দ্বীপে স্পেশাল ইকো ট্যুরিজমের কাজ এগিয়ে চলছে। এটি বাস্তবায়িত হলে পর্যটকরা সেখানে যেতে চাইবে। এতে এস টি শহীদ সুকান্ত বাবু জাহাজ বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।
সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, এই রুটে এতো সুন্দর নৌ-বিহারের ব্যবস্থা রয়েছে তা অজানা ছিল। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য পর্যটন শিল্প বিস্তার লাভ করতে পারে। তাই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে এর গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে। আর এজন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা এবং বেসরকারি ট্যুর অপারেটরদের সমন্বয় প্রয়োজন। এস টি শহীদ সুকান্ত বাবু জাহাজে সমুদ্র ভ্রমণ হতে পারে পর্যটনের এক সম্ভাবনাময় দৃষ্টান্ত।