মিরপুরে “সোবার লাইভ নামে”মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে-হচ্ছে কি? দেখার কেউ নেই!!
(বাংলাদেশ একাত্তর.কম) সোহেল রানাঃ
দেশের আনাচে কানাচে ভরে গেছে হাজারো নাম সর্বশহীন মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র, ভাবার বিষয়? তারা কি নিজেরাই মাদকে আসক্ত? মাদকসেবীদের সেবা দিয়ে ভালো করেন? নাকি অসৎ উপায়ে টাকা উপার্জনে সুস্থ মানুষকে অসুস্থ, চিকিৎসার নামে প্রতারণা?
সোবার লাইফ মাদক আসক্ত সেবা কেন্দ্রকে ঘিরে দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার পাড়া মহল্লার স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে রয়েছে নানা রকম প্রশ্ন? এমনও তথ্য রয়েছে এখানে মাদকাসক্ত নিরাময় খুলে চিকিৎসার নামে নিরীহ পরিবারের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ। অনেকেই সুকৌশলে সোবার লাইভ মাদকাসক্তের পরিচালকের সাথে অর্থের বিনিময়ে সুস্থ মানুষকে নেশাগ্রস্ত ও নেশা গ্রুস্থকে সুস্থ বলে চালিয়ে দেওয়াই এদের মুল সেবা পেশা!
রাজধানীর মিরপুর, সেকশন-৬, ব্লক-ডি, রোড-২০, বাড়ি- ৩২, পল্লবী থানাধীন গড়ে উঠেছে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র সোবার লাইফ এর ভিতরে আসলে কি হচ্ছে? সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক ভুক্তভোগীর সন্ধান মেলে মাত্র ১০ মিনিটেই।
ভুক্তভোগী, সাদিয়া সুলতানা জানান, তার স্বামীকে মাদক সেবী বানিয়ে, স্বামীর আপন ভাই সোবার লাইভে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসার নামে আটক করে রেখেছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইমাম হোসাইন রনি ও বাবুর সহযোগিতায়। পারিবারিক ব্যবসার সকল কিছুই দেখ ভাল করতেন আমার স্বামী মনোয়ার হোসেন রানা।
তিনি আরো বলেন, আমার স্বামীর আপন ভাইদের মধ্যে ভিতরে ভিতরে কু-ষড়যন্ত্র চলছিলো আমার স্বামীকে নিয়ে। পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্টান-ই কালহয়ে দাড়িয়েছে আমার স্বামীর জীবন। আমার স্বামীর অনেক দিন যাবৎ নিখোঁজ, কোনো খোজ খবর পাচ্ছিলাম না।
সাদিয়া আরো বলেন, বহু খোজাখুজির পর জানতে পারি মিরপুর ৬ নম্বরে সোবার লাইভ মাদকাসক্ত নিরাময়ের পরিচালক ইমাম হোসাইন রনি ও বাবু (সন্ত্রাসী টাইগার বাবু) তাদের সহযোগীতায় আমার স্বামী মনোয়ার হোসেন রানাকে চিকিৎসার নামে বন্দি করে রাখেছে।
আমি তখন“সোবার লাইফ” মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে আসি, পরিচালক টাইগার বাবু আমাকে স্বামীর সাথে কোনো প্রকার দেখা করতে দেয়নি। অবশেষে পাশুন্ড পরিচালক বাবুর ‘পা’ ধরে আকুতি মিনতি করলেও টাইগার বাবুর হৃদয় এতটুকু নরম হয়নি। পরে পরিচালক, ইমাম হোসেন রনির সাথে দেখা করলে তিনিও পরিস্কার ভাষায় বলেন দেখা সম্ভবনা চিকিৎসা চলছে । এরপর থেকে তার নিজেস্ব ক্যাডার বাহিনী দিয়ে আমাকে সব সময় নজরে রাখে। কোনো ভাবেই যেন আমি ভিতরে প্রবেশ করতে না পারি।
এ বিষয় জানতে, সোবার লাইভ পরিচালক ইমাম আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দেশে এখন মহামারী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে তাই তাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হইছে। এক প্রশ্নের জবাবে পরিচালক ইমাম হোসেন রনি বলেন, আমি নিজেও একজন সাংবাদিক, আমারও বহু সাংবাদিক আছে।
উল্লেখ্, গত ১০/১২ দিন ধরে নিখোজ স্বামীর সন্ধান পেয়ে বড় আশা নিয়ে এসে স্বামীর সাথে দেখা করতে না পেরে অশ্রুশিক্ত হন। তিনি এ বিষয়াদি নিয়ে মিরপুর বিভাগ ও বাংলাদেশ সকল পুলিশ প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা চান, তার স্বামীকে জালিম দের হাত থেকে রক্ষার্থে আকুল আবেদন জানান।
এ বিষয়ে সাদিয়া সুলতানা সোবার লাইভ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালকদের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, টাইগার বাবুর বিরুদ্ধে কথা বলার মত কোনো লোক এই এলাকায় নেই, সে পারেনা এমন কোন কাজ নেই। বহু-সন্ত্রাসী বড় নেতা এবং থানা পুলিশের সাথে সু-সম্পর্ক রয়েছে। তার ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনা।