নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিতর্কিত বসুন্ধরা গ্রুপের চাকরি ছেড়ে দিয়ে দেশে আবার এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলেন আবু সাইদের দুই ভাই।
ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ই-মেইলে এবং ডাকযোগে সংশ্লিষ্ট বসুন্ধরা গ্রুপ কর্তৃপক্ষের কাছে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেওয়ার বিষয়টি অবগত করে তারা দুজন পত্র প্রেরণ করেন।
পরদিন বুধবার (১৩ নভেম্বর) গণমাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত করেন আবু সাঈদের ভাই আবু হোসেন।
গত, মাসের ৯ অক্টোবর আবু সাঈদের ভাই রমজান আলীকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের রংপুর ব্যুরো অফিসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী এবং আারেক ভাই আবু হোসেনকে টিভি চ্যানেল নিউজ-২৪ এর রংপুর ব্যুরো অফিসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহীর পদে নিয়োগ দেয় বসুন্ধরা গ্রুপ।
এদিন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পক্ষে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো. ইয়াসিন হোসেন পাভেল পীরগঞ্জের বাবনপুরে শহীদ আবু সাঈদের গ্রামের বাড়িতে যান। সেখানে আবু সাঈদের দুই ভাই আবু হোসেন ও রমজান আলীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন।
এ সময় নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের হেড অব মার্কেটিং সালাউদ্দিন আহমেদ। এই নিয়োগপত্র গ্রহণ করেন শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন। এ সময় শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন, মা মনোয়ারা বেগম, বোন সুমী বেগমসহ প্রতিবেশী ও অন্য স্বজনরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ওই দিন আবু সাঈদের ছোট বোন সুমী খাতুনকে চাকরি দেয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) কর্তৃপক্ষ।
এদিকে চাকরি পাওয়ার এক মাসের মাথায় অব্যাহতি নেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবু হোসেন জানান, তারা দুই ভাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। বিষয়টি অবগত করতে বসুন্ধরা গ্রুপের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ই-মেইল এবং ডাকযোগে অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, গত মাসে নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পর থেকে অফিসে সময় দিতে পারিনি। সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। এখন অফিসে সময় না দিয়ে মাস শেষে বেতন নেওয়ার আমাদের কোনো ইচ্ছে নাই। এ কারণে আমরা চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাঈদ। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম শহীদ। আবু সাঈদ নিহত হওয়ার পর সারা দেশে আন্দোলন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়।
সারা দেশে বিভিন্ন আওয়ামী পন্থি গ্রুপের উপর হামলা করে সাধারণ জনতা। বসুন্ধরার উপর হামলা হয়। হামলা থেকে বাঁচতে ও সম্পদ রক্ষার্থে আওয়ামী শিল্পগোষ্ঠী গ্রুপরা কৌশলে চাকরি দেয়া শুরু করে।
সুশীল সমাজের লোকজন বলছেন, চাকরি ছেড়ে দেয়া ভালোই হইছে, বসুন্ধরা গ্রুপের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ আছে। আওয়ামী সরকারের সাথে মিলে সোবহান পরিবারের সদস্যরা অনেক নারীদের ধর্ষণ, নির্যাতন, স্টাফদের সাথে খারাপ আচার-আচরণের অভিযোগ আছে।
মুনিয়া হত্যা মামলার আসামী থাকা অবস্থায় আওয়ামীগের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে সোনার বাজার দখল করেছে। ক্রাব দখল করেছে। সভাপতি হয়েছে। ওদের সাথে সম্পর্ক না রাখাই উত্তম। আবু সাইদের ভাইরা চাকরি ছেড়ে দিয়ে ভালো কাজ করেছে।