চট্টগ্রাম: পঞ্চাশের দশকে ডা.খাস্তগীর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন এখন পঁচাত্তর পেরুনো রোকেয়া খানম। সত্তরের দশকের শেষদিক থেকে আশির দশক জুড়ে মায়ের স্কুলে পদচারণা ছিল তাঁর পাঁচ মেয়ের। মা-মেয়ে সবাই একসঙ্গে এসেছিলেন কৈশোরের স্মৃতিময় স্কুলটিতে। পঞ্চশের দশকে গ্রামের পশ্চাৎপদ চিন্তাধারাকে পেছনে ফেলে তিন বোন পড়তে এসেছিলেন খাস্তগীর স্কুলে। বর্তমানে সত্তর পেরুনো তিন বোন হলেন সখিনা ইউসুফ, রিজিয়া বেগম ও সানোয়ারা বেগম। সখিনা ও রিজিয়া এসেছিলেন প্রায় ৫৫ বছর আগে ফেলে যাওয়া স্মৃতির আঙ্গিনায়।
নব্বইয়ের দশকের ছাত্রী শিক্ষিকা গৌরি নন্দিতা কিংবা সদ্য মাধ্যমিক শেষ করে স্কুল ছেড়েছেন তিন বান্ধবী কানিজ ফেরদৌস, রওনক জাহান ও ফাইরুজ সরওয়ার। তারাও সবাই এসেছেন।
এভাবেই শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মেলবন্ধন ঘটেছে ডা.খাস্তগীর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১১১ বছর পূর্তিতে। কুয়াশাঘেরা ভোরে সবুজ আঙ্গিনায় দুর্বাঘাসের উপর জমা শিশিরবিন্দু যেমন এক হয়ে উপচে পড়ে জলের ধারায়। তেমনি করে হাসি-আনন্দের ঝর্ণাধারায় পুর্নমিলনিতে এক হয়েছিলেন খাস্তগীরের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। হাসি-ঠাট্টা, পুরনো দিনের স্মৃতি ছুঁয়ে দেখা, গল্প-আড্ডায় দিনটি পার করছেন তারা।