বাংলাদেশ একাত্তর.কম/ মীর আলাউদ্দিন:
রাষ্ট্র ও সমাজের সবক্ষেত্রেই চলছে চুড়ান্ত নোংরামি। যে যেভাবে পারছে সে ভাবেই নিজের সর্বোচ্চ বাজে চেহারাটা প্রদর্শণ করছেন। সমাজপতি হয়ে যেমন অন্যের স্ত্রী ভাগিয়ে নিয়ে সংসার গড়ছেন, তেমনি অর্থের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেই মিলছে কোটি কোটি টাকা তছরুপের এন্তার অভিযোগ। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের নিয়ে পুলিশ চা বিস্কুট খাওয়ার আড্ডায় মত্ত থাকলেও বাদী-সাক্ষীকে জেল খাটানো হয় মাসের পর মাস। সাংগঠনিক পর্যায়ে এসব নোংরামির যেন শেষ নেই।
ইদানিং ঢাকা মহানগর উত্তরের মৎস্যজীবী লীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে যে নোংরা কাঁদা ছোঁড়াছুড়ির ভয়ঙ্কর প্রতিযোগিতা চলছে তা শুনলে রীতিমত অবাক হতে হয়। সংঘবদ্ধ চক্রটি দলীয় মিটিং মিছিল কিংবা সাংগঠনিক তৎপরতায় কখনো কোনো ভূমিকা না রাখলেও বর্তমানে পদ প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার ধান্ধাবাজির অপকর্মে মাঠে নেমেছে। তাদের এ ধান্ধা সফল করতে নামকাওয়াস্তের ভূইফোড় পত্রিকা ও অনলাইনের তথাকথিত সাংবাদিকদের তাদের দলে ভিড়িয়েছে। তারা টার্গেটকৃত ব্যক্তি বা নেতার নামে সত্য মিথ্যা জড়িয়ে কথিত প্রতিবেদন ছাপিয়েই মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার ফন্দিফিকির শুরু করে। এমনই এক অভিনব অপকৌশলের নির্মম শিকার হয়েছেন কয়েকজন নেতা। তারা কেউ কেউ পত্রিকার মিথ্যা সংবাদের আক্রমণের শিকার হয়েছেন, আবার কেউবা কথিত মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচীর ধকলে পড়েছেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গত কয়েকদিন যাবত চলমান অবস্থান কর্মসূচীকে ঘিরেও এমনতর চাঞ্চল্যকর কাহিনী বেরিয়ে এসেছে।
এদিকে প্রেসক্লাবের ফুটপাতে একটানা ১৯ দিন অবস্থান করেও মিডিয়ায় যখন কাঙ্খিত প্রচার প্রচারণা পাওয়া যায়নি তখনই কর্মসূচীর নেপথ্যের আয়োজকরা অবস্থান কর্মসূচীর উপর হামলা চালানোর প্রস্তুতি নেয়। খবরটি উদঘাটন করামাত্র সাংবাদিকরা রমনা থানা পুলিশসহ সিটি এসবিকে বিষয়টি অবহিত করে। ফলে তৎক্ষনাত সেখানে পুলিশের তৎপরতা বাড়ানোর কারণে হামলাকারী চক্র পিছু হটে। তবুও কুচক্রীরা অপকর্মের পরিকল্পনা নেয়া থেকে বিরত হয়নি। এসব ক্ষেত্রে সাংগঠনিক ভাবে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়ার জোর দাবি জানান নেতা কর্মিরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সাইদুর রহমান সাঈদ, সাইফুল আলম মানিক ও লায়ন শেখ আজগর লস্করের নেতৃত্বে এবার কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী লীগ যাত্রা শুরু করতেই সারাদেশে ব্যাপক তৎপরতায় সাংগঠনিক দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়। সভাবতই মৎস্যজীবী লীগে অংশগ্রহণকারী নেতা কর্মিদের ভিড় জমে উঠে। প্রতিটি শাখা প্রশাখা জমজমাট হয়ে উঠে। এ প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর উত্তরের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সরগরম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রতিটি পদের বিপরীতেই প্রার্থী ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এ চাহিদার বিপরীতেই শুরু হয় নানা অপকর্ম।
এক নেতাকে ডুবিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে আরেক নেতার পদ দখলের সীমাহীন চক্রান্তের বেড়াজালে আটকে পড়ে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া। নেতিবাচক নানা প্রতিবেদন পত্র পত্রিকায় প্রকাশের মাধ্যমে নেতাদের কাউকে কাউকে ধরাশায়ী করার চেষ্টায় বাস্তবে সুনাম ক্ষুন্ন হয় দলের।
ঢাকা উত্তর কমিটির সভাপতি পদের জন্য আলোচিত ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন দেলোয়ার হোসেন। সাংগঠনিক কর্মকান্ড সচল রাখার ক্ষেত্রে নেপথ্যে বরাবরই ভূমিকা রেখে নেতা কর্মিদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্ব থামিয়ে স্বার্থ হাসিল করতেই উঠেপড়ে লাগে একটি গ্রুপ। প্রথমে তারা পত্র পত্রিকায় মিথ্যা ভিত্তিহীন নানা অভিযোগ উত্থাপন করে সফল হতে ব্যর্থ হয়ে এবার বস্তির মহিলাদের ভাড়া করে প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনের নামে বিতর্কিত করার পাঁয়তারা শুরু করে।
কিন্তু গত দুদিন সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এ আন্দোলনের নেপথ্য কাহিনী। প্রতিদিন ১৫ হাজার টাকা খরচের বিপরীতে এ আন্দোলন গড়ে তোলার উদ্যোগও ব্যর্থ হওয়ার পথে ঠিক এ সময়ই হামলা চালানোর পরিকল্পনা নিলেও পুলিশ তা নস্যাত করে দিলো। এখন নতুন কোন চক্রান্ত নিয়ে তারা মাঠে নামে সেটাই দেখার বিষয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের ফুটপাত দখল করে বেশ কিছুদিন যাবত অবস্থান করছে ২০-২৫জনের মত কিছু গার্মেন্টস শ্রমিকরা। প্রেস ক্লাবের প্রধান গেটের পশ্চিমাংশের ফুটপাতে ব্যানার ও পলিথিন বিছিয়ে শুয়ে বসে কাটে তাদের সময়। সেখানে রয়েছে ৫০বছরের বেশি বয়সী নারীরাও। সড়কঘেঁষা ক্লাবের দেয়ালে টানিয়ে রাখা হয়েছে তাজরীন ফ্যাশন লিঃ এ ২০১২ সালে যে অগ্নিকান্ড ঘটেছে সেখানে নাকি ৫৩জনের অধিক শ্রমিক নিখোজ রয়েছেন এখন পর্যন্ত। তাদের কোন হদিসই নেই। তবে কারা নিখোজ হয়েছেন সে বিষয়টিও জানেন না তারা। তাদের কারো কাছে কোন তথ্যও নেই। তারা শুধু জানেন তাদের ৫৩জনের বেশি শ্রমিক নিখোঁজ আছে, এজন্য একটা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকার আছে। এ বিষয়ে সেখানে আন্দলের নেতৃত্ব দেয়া নারী শ্রমিক নেত্রী নাসিমা বলেন, তারা বিজিএম এর মাধমে ১লক্ষ করে টাকা পেয়েছেন। সেই টাকায় কয়দিন চলে…?