বাংলাদেশ একাত্তর.কম (শামীমা আক্তার)
রাজধানীর মিরপুর প্রেসক্লাব হল রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।রবিবার, সকাল ১১ টায় এ সংবাদ সম্মেলন উক্ত অনুষ্ঠানে শেফ ইউনিটি এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ এর সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা প্রেস ব্রিফিং করে এবং তাদের ১২ দফা দাবী জানান।
বাংলাদেশে কর্মস্থানের অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের মধ্যে হোটেল ও রেস্তোরাঁ শিল্প একটি অন্যতম বৃহৎ খাত। আর যেকোনো রেস্তোরাঁর সফলতার প্রধান কারিগর সেই রেস্তোরাঁর শেফবৃন্দ। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কর্ম, বিশ্রাম,বিনোদন বা সামাজিক সম্পর্ক সমুহ আনন্দঘন করে তুলতে শেফদের ভুমিকা অনস্বীকার্য।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ সারাদেশে প্রায় ৬০ হাজার রেস্তোরাঁয় কর্মরত ২০ লক্ষাধিক শ্রমিকের মতই শেফরা গত মার্চ মাস থেকে সম্পুর্ন বেকার হয়ে পরে। বছরের পর বছর মুনাফা করলেও নামমাত্র দুই একটি ব্যক্তিক্রম ছাড়া হোটেল-রেস্তোরা শিল্পের মালিকরা এই দুঃসময়ে শ্রমিকদের পাশে দাড়াননি। আবার সামাজিক মর্যাদা বোধের কারনে তারা সাহায্যের জন্য হাত পাততেও পারছেনা। সারা জীবন মানুষকে রান্না করে খাওয়ায় আজ তারাই এখন না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। মানুষের জীবনের পাঁচটি মৌলিক চাহিদার প্রথমটি খাদ্য আমরা শেফরাই যোগদানা দেই অথচ আজ আমরাই সবচেয়ে বেশি অবহেলিত, ইউরোপে শেফদের সেকেন্ড গড বলা হয়, একজন শেফ মারা গেলে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। কিন্তু আমরা কেন এত অবহেলিত তা আমাদের কারোই বোধগম্য নয়। ১’লা জুন থেকে সরকার হোটেল-রেস্তোরা বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশনা জারী করলেও করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত না হওয়ায় এবং সন্ধ্যায় রেস্তোরাঁ খোলা না থাকায় ক্রেতা উপস্থিত খুবই কম। ফলে হোটেল রেস্তোরাঁ মালিকগণ শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিশোধের দায়ীত্ব এড়ানোর জন্য এবং লোকসানের সম্ভাবনাময় হোটেল রেস্তোরাঁ চালু করছে না। করোনা সংক্রমণের শুরুতে সরকার প্রধান অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকদের জন্য নগত সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিলেও অদ্যবধি হোটেল রেস্তোরাঁ শ্রমিকরা কোন সরকারি সহায়তা পায়নি। যার ফলে হোটেল ও রেস্তোরাঁ শ্রমিকরা প্রায় ৪ মাস যাবত উপার্জনহীন অবস্থায় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে অদুর ভবিষ্যৎতে কাজের অনিশ্চয়তায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। শ্রম আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় হোটেল-রেস্তোরা শ্রমিকদের আইনি প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ নেই। এমতাবস্থায়, বর্তমান দুরাবস্থা থেকে রক্ষা ও ভবিষ্যতে কর্মক্ষেত্রে হোটেল-রেস্তোরা শ্রমিকদের শ্রম অধিকার নিশ্চিত করতে শেফ ইউনিটি এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিম্নলিখিত বিষয়াবলী আপনাদের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিবেচনার জন্য তুলে ধরা হলো।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে ১২ দফা দাবী নিয়ে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ফাতেমা আক্তার রিতা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল, সাধারণ সম্পাদক মুরাত দেওয়ান,সহ-সভাপতি সুমন খান, সহ-সভাপতি শেফ নোমান, উপদেষ্টা শেফ আসফাক আহমেদ এবং জালাল আহমেদ।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনের সভাপত্বি করেন শেফ ইউনিটি এসোসিয়েশনের অফ প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি শেফ আহসান হাবীব। পরে বেলা ১২টার দিকে উক্ত অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত করা হয়।
শামীমা আক্তার, রবিবার ০৫/০৭/২০২০ইং।