বাংলাদেশ একাত্তর.কম/মিরপুর প্রতিনিধি:
‘কিশোর গ্যাং, অপসংস্কৃতি এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে র্যাব-৪।
সবার হোক একটাই পণ কিশোর অপরাধ করবো দমন’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অদ্য ১৩ নভেম্বর ২০২১ তারিখ দুপুর ১২ ঘটিকার সময় রাজধানীর মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, রুপমগর এর অডিটোরিয়ামে সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতিতে বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলহাজ্ব কামাল আহমেদ মজুমদার (এমপি), মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, শিল্প মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, মিরপুর এর অধ্যক্ষ জনাব মোঃ ফরহাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং র্যাব-৪ এর পুলিশ সুপার জয়িতা শিল্পী’র সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন র্যাব-৪ এর সুযোগ্য অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডঃ মোঃ আবু মাসুদ, অধ্যক্ষ ঢাকা কমার্স কলেজ, মিরপুর, ঢাকা।,
সভায় বক্তারা কিশোর গ্যাংয়ের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে বলেন, উঠতি বয়সি কিছুু কিশোর মিলে পাড়া-মহল্লায় বিভিন্ন নামে গ্যাং গ্রুপ গড়ে তুলছে। আধিপত্য বিস্তার, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ, মাদক, অবৈধ অর্থ লাভ, টেন্ডারবাজি, চাদাঁবাজি ও প্রেম ইত্যাদি নিয়ে বিরোধের জেরে তারা অহরহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। অর্থের বিনিময়ে অর্থদাতার প্রতিপক্ষের ওপরও আক্রমণ চালাচ্ছে। এমনকি অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন জগন্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা। এসকল কিশোর গ্যাং কালচার বন্ধ করতে অভিভাবকদের সচেতনতার বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাবা-মায়ের সন্তানকে সময় না দেয়ায় বাচ্চাদের মন বিরুপ প্রভাব ফেলে। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতন করা বৈধ নয়, কাউন্সিলিংয়ে জোর দিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করতে এবং কিশোর গ্যাং অপসংস্কৃতি রুখতে প্রধান বক্তা র্যাব-৪ এর অধিনায়ক ভিডিও ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করেন। তিনি বলেন, শুধু আভিযানিক কার্যক্রম নয়, কিশোর গ্যাং দমনে সামাজিক সচেতনতাও জরুরি। সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন আমাদের জন্য একটি অ্যাসেট। এই অ্যাসেট ধরে রাখতে পারলে সন্তানদের বিচ্যুতি ঠেকানো সম্ভব। কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে পড়ার দায় সমাজের সবার রয়েছে। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক পথে ধাবিত করতে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সচেতনতা জাগিয়ে তুলতে সমাজকে অগ্রগামী হবার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো থেকে উদ্ভূত এই গ্যাং কালচারের অস্তিত্ব বাংলাদেশে থাকবে না। আমরা চাই, বিপথগামী কিশোরদের আঁধারের পথ থেকে আলোর পথে আনতে, তাদের মনস্তাত্ত্বিক উন্নয়ন ঘটাতে। সমাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এমন বয়োজ্যেষ্ঠদেরকেও এগিয়ে আসার আহ্ববান জানান তিনি। কিশোরদের বোঝাতে হবে, এই পথ ভুল পথ। সুস্থ বিনোদন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনচর্চার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তৈরি করতে হবে।’
ভবিষ্যতেও র্যাব-৪ এর এরূেপ সামাজিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।