নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ
পল্লবী থানার এস আই সজিব খানের হাতেই ‘ ধর্ষণ মামলার আসামী টিকটক সজিব গ্রেফতার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় নড়েচড়ে উঠেছে প্রশাসন। টিকটক ভিডিওর নামে কিশোর-কিশোরী নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। গত ১৩-১০-২০২০ ইং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) ৯/(১)/৩০ তৎসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮।
গত ৩১/০৫/২০২১ইং তারিখ সন্ধ্যা-১৯.০৫ ঘটিকার সময় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সূত্রে বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে পল্লবী থানার ধর্ষণ মামলার আসামী মাহাবুব আলম ‘বা’ এসএম মাহবুব আলম ‘বা’ টিকটক সজিব কে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থেকে গ্রেফতার করে পল্লবী থানার চৌকস অফিসার এসআই/মােঃ সজিব খান, এএসআই/মােঃ আজগর মােল্লা ও এএসআই/মােঃ আব্দুস সাত্তার এর সমন্বয়ে গঠিত টিম।
আসামী টিকটক সজিব (৩০), পিতা-শাহ আলম। তার গ্রামের বাড়ী ধন্যপুর, থানা-সােনাইমুড়ী, জেলা-নােয়াখালী।
সােনাইমুড়ী থানাধীন পশ্চিম দৌলতপুর গ্রামের নজির আহম্মদ হাজির বাড়ীর আবু তাহেরের ঘর হতে গ্রেফতার করা হয়।
বাদীর দেয়া তথ্য মতে আসামী গত ২ বছর পূর্বে মটস পলিটেকনিক ট্রেনিং সেন্টারে কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করার সুবাদে তার (বাদীর) সাথে পরিচিত হয়।
পরবর্তীতে মােবাইল ও সামাজিক যােগাযোগ মাধ্যমে তাদের বন্ধুত্ব হয়।
বাদী ও পুলিশের তথ্যমতে জানা গেছে, গত ২৪/১০/২০১৯ তারিখ আসামী বাদীকে সু-কৌশলে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে মােবাইল ও ল্যাপটপ এর মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করে রাখে। আসামী উক্ত ভিডিও সামাজিক যােগাযোগ মাধ্যম ও বাদীর আত্নীয় স্বজনদের কাছে প্রকাশের হুমকি
দিয়ে বিভিন্ন সময় বাদীর সাথে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে।
সংশ্লিষ্ট ঘটনায় বাদী থানায় এসে লিখিত অভিযােগ দায়ের করেন উক্ত মামলা রুজু হওয়ার পরে পল্লবী থানা পুলিশ ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশে এবং আসামীর গ্রামের বাড়ী নােয়াখালীতে অভিযান পরিচালনা করে হয় আসামী পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
গত ইং ৩০/০৫/২০২১ তারিখ আসামীকে গ্রেফতারের নিমিত্তে নোয়াখালী জেলায় অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু
আসামী নিজেকে রক্ষা করতে আত্নগােপন এবং ছদ্মবেশ ধারন করে। আসামী গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে এমনকি তার ব্যবহৃত মােবাইল সিম অন্য জনকে দিয়ে ব্যবহার করায়। আসামী তার দাড়ী ক্লিনশেভ করে হেয়ার কাট পরিবর্তন করে এবং তার নিজ গ্রাম থেকে অন্য জায়গায় গিয়ে তার নাম পরিচয় গোপন করে “ছদ্মবেশ” ধারন করে।
পরে এসআই/মােঃ সজিব খান ও তার টিম উন্নত তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও সু-কৌশলে আসামীকে উল্লেখিত তারিখে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারের পর আসামীর মােবাইল ফোন জব্দ করা হয়। যাহা হতে বিশেষজ্ঞের মতামত সংগ্রহ করা হবে।
আসামীকে ০৭ (সাত) দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত ০৩ (তিন) দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় আসামীর নিকট থেকে মামলা সংক্রান্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায় এবং রিমান্ডে আসামীর দেয়া তথ্য মতে ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। আসামীর ফেসবুক আইডি উদ্ধার করা হয়। আসামীর একাধিক ফেইক ফেসবুক আইডি রয়েছে যার মাধ্যমে সে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে আসছে। আসামীর অন্যান্য মেয়েদের সাথেও এ ধরনের সম্পর্ক রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।
প্রতারণার শিকার হয়েও লােক লজ্জার ভয়ে বা সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার কারণে তারা আইনের দ্বারস্থ হচ্ছে না।
পল্লবী থানা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আসামীর নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্য অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে যাচাই বাচাই করা হচ্ছে। এর সাথে আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।