রাজু আহমেদ;
শরীয়তপুরে সাংবাদিকদের ওপর হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যায় একদল সন্ত্রাসী হাতুড়ি দিয়ে মারধর করছে। ভিডিওতে ৭-৮ জন সন্ত্রাসী মিলে এক সাংবাদিককে বেধড়ক পেটাচ্ছে, পরে স্থানীয়রা ধাওয়া করে এক হামলাকারীকে ধরে ফেলে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলার পালং এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। আক্রান্ত সাংবাদিকদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। শরীয়তপুর প্রেসক্লাব, ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সদস্যরা এতে অংশ নেন।
সাংবাদিকরা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক সোহাগ খান সুজন পালং মডেল থানায় নুরুজ্জামান শেখ, শামিম শেখ, ইব্রাহিম মোল্লা, জিহাদ মোল্লা, মাকসুদা বেগম, মনির ঢালী ও সালাউদ্দিন ঢালীসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেছেন।
শরীয়তপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি খলিল শেখ বলেন, “সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের বর্বর হামলা স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য হুমকি। দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।”
ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব নুরুল আমিন রবিন বলেন, “হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবো।”
পালং মডেল থানার ওসি হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, পুলিশ ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গণমাধ্যমকর্মীরা আশাবাদী, প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেবে এবং অপরাধীরা শাস্তি পাবে।