দেশের কোথায়ও না কোথাও ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবিতে মানববন্ধন করে প্রতিবাদী স্লোগান দিয়ে গলা ফাটাইতেছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আর এদিকে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলছে। কিন্তু মামলা হয়েছে,তবে মৃত্যুদন্ড হবে কি?
বাংলাদেশ একাত্তর.কম– নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ শিশু ধর্ষনের শাস্তী মৃত্যুদন্ড হলে ধর্ষক থাকবেনা, ধর্ষণ কমে যাবে বলে মনে করেন এদেশের সুশীল সমাজের লোকজন।
রাজধানীর মিরপুর রূপনগর, শিয়ালবাড়ী নামক স্থানে ১৩ বছরের এক কাজের মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, মিরপুর রূপনগর শিয়ালবাড়ী ৫নং রোডের ২২ নং বাসার ৭ম তলায় কাজের মেয়ে হিসেবে জুথি আক্তার নামের এক মেয়ে কাজ করতেন, তিন – হাজার টাকা – মাসিক বেতনে, অভিযোগ উঠে উক্ত বাসার মোজ্জামেল হক (৩০), এর ছোট ভাই মোফাছ্ছেল (২৬) পিতা-মৃত-আবদুল রাজ্জাক হাওলাদার, সাং- সেলিমপুর, থানা- মুলদী, জেলা-বরিশাল। গভীর রাতে জুথির শ্বয়ন কক্ষে প্রবেশ করে জোর পুর্বক ধর্ষণ করে।
পরে ভিকটিমের মা চামেলী বেগম, বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। জুথিকে মেডিকেল চেকাপের জন্য সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানা যায়।
এবিষয়ে রূপনগর থানায় ৯(১) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (২০০০ সংশোধনী ২০০৩) অনুমোতাবেক একটি ধর্ষণ মামলা হয়। পরে রূপনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়ে আসামী মোফাছ্ছেল হক’কে আটক করে আইনি মোতাবেক তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
থানা সুত্রেঃ জানা যায়, জুথি দীর্ঘদিন ধরে উক্ত বাসায় কাজের মেয়ে হিসেবে কাজ করতেন। রাতে সেখানেই থাকতো, রাতের আধারে জুথির শোবার ঘরে ধুকে তাকে জোর পুর্বক ধর্ষণ করে।এখবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উক্ত বাড়ীর সামনে এলাকাবাসীর ভীড় জমে যায়।এলাকাবাসীর সহেতায় আসামীকে আটক করে। পরে কোর্টে সোপর্দ করা হয়।
অন্যদিকে, গত ১০ই জানুয়ারি আরেকটি ধর্ষণ মামলা হয়, রূপনগর থানায়। জানা যায়, রূপনগর টিনসেড ১১-নং রোডে, ৩৫২-নং বাসার ভাড়াটিয়া আতিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তি (গাড়ী চালক) জান্নাতুল আক্তার রিতু (১৪) নামের এক গার্মেন্টস কর্মীকে জোর পুর্বক ধর্ষণ করে ।
পরে জান্নাতুল আক্তার রিতু নিজে বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আসামী আতিকুর রহমান পরিবারের সহযোগিতায় বিদেশ পলাতক রয়েছে বলে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন।