আজ মহরম শেষদিন, ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই মহরম হল দ্বিতীয় সবচেয়ে পবিত্র সময়। এই দিনটি পালন করা হয়ে থাকে ইসলামিক বছর বা হিজরী ক্যালেন্ডারের প্রথম মাসে। মহরমকে আবার বলা হয়ে থাকে মহরম উল হারাম। এই দিন খাদ্য এবং পানীয় ছাড়া মরুভূমিতে একা পড়েছিলেন হুসেন। এই সময়ই তাঁর শত্রু সেনারা তাঁকে এবং তাঁর সঙ্গীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। যে কারণে এই দিনটি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে শোকের দিন।
হ়োসাইন ʾইবনে ʿআলী (আরবি: ٱلْحُسَيْن ٱبْن عَلِيّ, প্রতিবর্ণী. Al-Ḥusayn ibn ʿAlī; ১০ জানুয়ারি ৬২৬ – ১০ অক্টোবর ৬৮০) ছিলেন ইসলামের পয়গম্বর মুহম্মদের ﷺ দৌহিত্র এবং আলী ও ফাতিমার পুত্র। মুসলমানরা তাঁকে আহল আল-কিসা ও আহল আল-বাইতের একজন সদস্য হিসেবে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করে। তিনি সুন্নি ইসলামের একজন গুরত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং শিয়া ইসলামের তৃতীয় ইমাম।
অন্যান্য জায়গার মতো প্রতি বছর এই দিনটিকে কেন্দ্র করে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা পল্লবীর বিভিন্ন এলাকায় তাজিয়া বের করে থাকেন। দুলদুল ঘোড়া, কারবালা, লাঠিসোটা নিয়ে উন্মত্ত ‘হায় হোসেন হায় হোসেন’ করতে করতে বুকে করাঘাত দিয়ে চলে তাজিয়া নিয়ে শোকযাত্রা। তবে চলতি বছর করোনা সংক্রমণের কারণে রীতি মেনে এই তাজিয়া তৈরি হলেও শোকযাত্রা বের করেনি রাজধানীর পল্লবীর বাসিন্দা হাজী আব্দুল হালিম (চাঁন মহাজন) মোঃ নাদিম, মোঃ রিংকু, কাল্লু সিদ্দিকী, মোঃ বাবু, মোঃ ইনামুল, মোঃ ভুট্টোরা।
তবে পল্লবী বিহারি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদরা চলমান মহামারী করোনা পরিস্থিতি সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে পল্লবীর বিভিন্ন সড়ক আটকিয়ে যানযট লাগিয়ে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে শব্দদুষণ করে তারা। মোহাম্মদপুর ও পুরান ঢাকা এলাকা ছিলো যানজট মুক্ত শক্ত স্থানে ছিলো পুলিশ। পল্লবী থানা প্রশাসন শক্ত স্থানে না থাকায় করোনা পরিস্থিতিতে এমন চরম দুর্ভোগে পল্লবী বাসি। পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অনয় সহ টিমের সদস্যদের দেখা গেছে মিছিলের পাশে।