রাজু আহমেদ; মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর।
ঢাকা শহরের প্রধান সড়কগুলোতে যানজট দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, ফুটপাত ও সড়ক দখল, অবৈধ পার্কিং এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার অব্যবস্থাপনা এই যানজটের প্রধান কারণ।
সকালে ও সন্ধ্যায় শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সামনে দামী গাড়িগুলোর অনিয়ন্ত্রিত পার্কিংয়ের কারণে যান চলাচল প্রায় থমকে যায়। এছাড়া টাউন সার্ভিস বাসগুলো যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা করে, যা যানজটের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
সড়কের মোড়ে মোড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ সিএনজি, লেগুনা এবং অটোরিকশার স্ট্যান্ডও যানজট সৃষ্টি করছে। রাতে বিভিন্ন সিটি পরিবহন বাস সড়ক দখল করে রাখে, যা সড়কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। এমনকি দিনের বেলাতেও সড়কের উপর গাড়ি মেরামত ও সার্ভিসিং করতে দেখা যায়।
অপরদিকে, বেশিরভাগ ট্রাফিক সিগনাল বাতি অকার্যকর থাকায় যানবাহনগুলো এলোমেলোভাবে চলাচল করছে। ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক সড়কের উপরেই যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষা করাও যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।
সাধারণ মানুষের দাবি, দ্রুত সড়ক ও ফুটপাত দখলমুক্ত করা, অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ এবং কার্যকর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই যানজটের সমাধান করা হোক। অন্যথায়, ঢাকা শহরের জীবনযাত্রা ক্রমেই অচল হয়ে পড়বে।
কিছু পুলিশ বা রাজনৈতিক নেতা বলে থাকেন ফুটপাত দখল মুক্ত করলে সাধারণ হকারদের সংসার চলবেনা। কিন্তু এখানে আরেকটা কথা ঠিক যে হকারেরা যদি একদিন চাঁদা না দেয় তবে পুলিশ বা রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গীরা হকারদের সরিয়ে দিতে কোনো অজুহাত মানেনা।
সাধারণ মানুষের দাবী, হকারেরা রাস্তায় বসতে পারবেনা, দিনে দিনে হকার অটোরিকশা অবৈধ দখল বেড়েই চলছে। উপদেষ্টা সরকারের আমলে অবৈধ দখল বানিজ্য গাড়ী পার্কিং বন্ধ করা না হলে কোনো নির্বাচিত সরকার আসলে সম্ভব নয়। তখন বিভিন্ন নেতার অনুসারীরা সড়ক গুলো নিয়ন্ত্রণ করবে।
