রাজু আহমেদ: প্রকাশিত,২৫ মার্চ ২০২৫
ঢাকা: সেলিম হত্যা মামলার ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও পুরোপুরি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার দিন একজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকি আসামিরা এখনো অধরা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, “ঘটনার দিন একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
তবে আসামিরা ভুক্তভোগী পরিবারকে ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের অভিযোগ, “মামলা তুলে না নিলে তোদেরও সেলিমের মতো করবো” — এ ধরনের হুমকি দিচ্ছে আসামিরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই সাইফুল বলেন, “ঘটনাটি আমরা জানি এবং হুমকি দেওয়া নাম্বারগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়, তবে শিগগিরই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।”
মামলার আসামিদের তালিকা:
পারভেজ, মো. রাকিব হাসান, মো. সোহেল, মো. রানা, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. বাবু, মো. লিটন, মো. কামাল
মো. রাসেল, মো. জাহাঙ্গীর, মো. শরিফ, মো. রুবেল,মো. নাসির, মো. মানিক, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. জসিম উদ্দিন।
ঘটনার পটভূমি:
গত শুক্রবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর কালসী ট্রাকস্ট্যান্ডে ইফতার বিতরণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাংবাদিক কলোনির বিহারী ক্যাম্প এলাকায় যুবলীগের সন্ত্রাসীরা যুবদল কর্মী সেলিমকে কুপিয়ে হত্যা করে। জীবন বাঁচাতে কোপ খেয়ে দৌড়ে ঘরে ঢুকে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় সেলিম। কিন্তু সন্ত্রাসীরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে এবং মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর গুলি ছুঁড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে এলাকা ত্যাগ করে।
ঘটনার পরপরই পল্লবী থানা পুলিশ, র্যাব এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা উপস্থিত হয়ে একজনকে ক্যাম্প এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। তবে বাকিরা এখনো অধরা। এদিকে সেলিমের অসহায় স্ত্রী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী একমাত্র শিশু কন্যা দিশেহারা অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।
নিহত সেলিমের পরিবার ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার এবং উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
গতকাল ২৪ মার্চ নিহত সেলিমের রুহের মাগফেরাত কামনায় ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের নেতাকর্মীরা দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন।