মাদক ব্যবসায়ীদের নতুন হাতিয়ার” সংবাদ সম্মেলন” ও বিভিন্ন দপ্তরে খোদ মাদক নির্মূলকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীরা করছে নাটকীয় অভিযোগ!
বাংলাদেশ একাত্তর.কম/নিজেস্ব প্রতিবেদক;
মাদকে ভাসছে গোটা এলাকা। টাকার বিনিময়ে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মাদক। যেমন-হেরোইন, ইয়াবা ট্যাবলেট, দেশীয় মদ, গাঁজা সহ বিভিন্ন মাদক। এসব মাদক সেবন করে ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ। মাদক নির্মূল অভিযানে মাঝে মধ্যেই বিপাকে পড়তে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। তেমনই এক ঘটনা ঘটেছে গত ০২ মার্চ রাজধানীর পল্লবীথানাধীন এলাকায়।,
জানা গেছে রিপা আক্তার কানি নামের এক মাদক সম্রাজ্ঞীকে মাদকসহ গ্রেফতার কালে পুলিশের উপর হামলা চালায় তার সহযোগিরা। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের মাদকের আস্তানা পল্লবীর মিল্লাত ক্যাম্পের ভিতরেই অবরুদ্ধ করে রাখে তারা।,
পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে মিল্লাত ক্যাম্প এলাকার চিহ্নিত মাদক সম্রাজ্ঞী পৃথিবী আক্তারের বোন কানি, আরেক বোন দিপা ও ভাই ডলার সহ মোট তিনজনকে মাদকসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত মাদক আইনে মামলা ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মামলা রুজু হয়।,
এর আগে গত ১৬/০২/ ২০২২ তারিখ আনুমানিক রাত ৯টার দিকে মিল্লাত ক্যাম্প এলাকায় পুলিশের নিয়মিত টহলের সময় চিহ্নিত মাদক সম্রাজ্ঞী পৃথিবীর আক্তারের আরেক ভাই কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ভুবনের দেহ তল্লাশি করে পল্লবী থানার এএসআই হুমায়ুন, কনেষ্টবল কামরুল ও আনসার সদস্য জাহাঙ্গীর। পরে অবৈধ কিছু পাওয়া না গেলে তাকে এলাকা বাসির সামনেই ছেড়ে দেন পুলিশ সদস্যরা।
কাক তালিয় ভাবে ওই রাতের পর সকালে পৃথিবীর আক্তারের বৃদ্ধ মা দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসারত বাসায় ১৭ ই মার্চ সকালে মারা যান। ওই দিন পৃথিবীর আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা স্বাভাবিক ভাবে মৃত মায়ের দাফন সম্পন্ন করেন।
এদিকে স্বাভাবিক মৃত্যুকে পুলিশের কাঁধে চাপিয়ে গত ১৩ মার্চে সংবাদ সম্মেলন করে মিল্লাত ক্যাম্প এলাকার চিহ্নিত মাদক সম্রাজ্ঞী পৃথিবী আক্তার।,
এলাকা বাসি বলেন পৃথিবির পুরো পরিবার মাদকের সাথে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে থানায় বহু মামলা আছে তারপরও তারা প্রকাশ্যে মাদক বানিজ্য করে। পৃথিবী আক্তারকে আজ পর্যন্ত কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধরতে পারেনি। তার বিরুদ্ধে মাদকের মামলা আছে কিনা সে বিষয়েও স্পষ্ট না।,
সুত্র বলছে, মিল্লাত ক্যাম্প এলাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণ করে চার নারী। তারা হলো (১) সনি, (২) শাহানাজ, (৩) পৃথিবী (৪) সায়মা। তাদের দখলেই রয়েছে মাদকের বাজার।
জানাগেছে পৃথিবীর স্বামী মোঃ আলামীনের নামে তিনটি মাদক মামলা রয়েছে। ভাই ডলারে নামেও তিনটি মামলা রয়েছে। ডলারের স্ত্রী মোসাম্মৎ দুলারি বেগমের নামেও মাদক মামলা রয়েছে। পৃথিবীর আরেক ভাই মোঃ সাব্বির খান ভূবনের নামেও চারটি মামলা রয়েছে। পৃথিবীর ছোট ভাই আকাশের নামেও মামলা রয়েছে। পৃথিবীর বোন রিপা আক্তার কানির
নামেও মামলা রয়েছে। কানির স্বামী মুন্নার নামেও মাদক মামলা রয়েছে। এছাড়াও আরেক বোন মাকসুদা বেগম লাক্কীর নামেও মাদক মামলা রয়েছে। লাক্কির স্বামী আরমানের নামেও একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। যাদের পরিবারের সদস্যরা মাদক মামলা সহ বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত তারাই আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে।
একটি বিসস্ত সুত্র বলছে, পৃথিবী আক্তার একদিনে কোটি টাকার লাল কালারের হেরোইন মাদক পাইকারি বিক্রি করে থাকে। ওই একই ক্যাম্পে অন্য আরেক মাদক সম্রাজ্ঞী সায়মা সে বাদামি কালারের হেরোইন বিক্রি করে থাকে।
তবে পুলিশের অভিযানের কারণে মাদক বানিজ্য আগের মত প্রকাশ্যে করতে পারছেনা। ক্রেতারাও ভয়ে আসতে চায়না ক্যাম্প এলাকায়। যে কারণে মাদক ব্যবসায়ীদের একমাত্র শত্রু প্রশাসনের লোকজন। পুলিশের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন ও বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে পুলিস সদস্যদের কোণঠাসা করার একটি অপচেষ্টা করে আসছে এই মাদক ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের নতুন হাতিয়ার সংবাদ সম্মেলন।
বিশস্ত সুত্রে জানা যায় যেদিন পৃথিবীর দীর্ঘদিন অসুস্থ বৃদ্ধা মা বাসায় মারা যান সেদিনও মোটা অংকের টাকায় মাদক বিক্রি করেছে। এটা নিয়েও ক্যাম্প পাড়ায় চলে আলোচনা সমালোচনা।,
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন মাদক ব্যবসায়ীদের কোনো প্রকার ছাড় নেই। আমাদের পুলিশ কমিশনার মহোদয় ও মিরপুর জোনের ডিসি স্যারের নির্দেশ মাদক ব্যবসায়ীদের কোনো ভাবেই ছাড় দেওয়া হবেনা। মাদকের সাথে যারাই সংপৃক্ত তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।