বাংলাদেশ একাত্তর.কম / কাজী ওবায়দুর রহমান
মিরপুর-৭ নম্বর এলাকায় নির্মাণাধীন সাড়ে ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু।
জানা যায়, শুক্রবার, রাজধানীর মিরপুর সেকশন-৭ রোড-৪, বাসা-৭১৬ হোল্ডিংয়ে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে অনুমানিক বিকাল ৪ টারদিকে মোবাইলে কথার বলার সময় ছাদের রুমের জানালা দিয়ে পড়ে গিয়ে এঘটনা ঘটে।
নিহত আরিফা আক্তার এলাকার আকরাম টাওয়ারে প্রিন্টিং সেকশনে কাজ করতেন। নিহতের বাবা পেশায় একজন রিকশা চলাক।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাড়ে ছয়তলা ভবনের ছাদে অন্য আরেকটি রুমের কাজ চলছিলো সে সময় আরিফা মোবাইলে কথা বলছিলো ও নির্মাণ রুমের জানালায় গিয়ে বসে এক পর্যায়ে ওই ফাকা দিয়ে নিচে পড়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।
আবার অনেকেই বলাবলি করছেন যে, যদি পড়ে গিয়েই মৃত্যু হয় তাহলে সাংবাদিকদের ভিতরে বা বাড়ীর ছাদে যেতে দেয়নি। এবং লাশের ব্যাপারে ও কিছু জানতে দেওয়া হচ্ছেনা কেন? এমনকি মৃত্যু নিশ্চিত হতে না হতেই লাশ গ্রামের বাড়ীতে পাঠাতে তড়িঘড়ি চালাচ্ছে। কারন কি?
এ প্রতিবেদক, ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বাড়ীর গেটের সামনে থাকা একব্যক্তি বলেন, কোনো তথ্য দেওয়া যাবেনা। পুলিশের কাছে যান।
দেখা যায়, বাড়ীর গেটের সামনে তিন-চারজন লোক দারোয়ানের কাজে নিয়োজিত, লাশ তাদের পাহাড়ায়। অন্য আরেকজন লোক রাস্তায় কোনো ব্যক্তিকেই সেখানে দাড়াতে দিচ্ছেন না।
এ বিষয়ে নির্মাণাধীন বাড়ীর মালিক পক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, ঘটনার বিষয়ে পুলিশ গিয়েছিলো মেয়েটি তার মায়ের সাথে ছিলো হঠাৎ ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। ওসি আরো বলেন, এ বিষয়ে নিহতের বাবা নিজে লিখিত দিয়েছেন।