বাংলাদেশ একাত্তর.কম/নিজেস্ব প্রতিবেদক ;
দলের তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে গত অক্টোবর মাসে ত্রি-বার্ষিক ইউনিট সম্মেলন শুরু করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ঢাকার দুই সিটির সকল ইউনিটের সম্মেলন শেষ করার মধ্য দিয়ে নতুন উদ্যমে বছর শুরু করতে চেয়েছিলো আওয়ামী লীগ। তবে নানা প্রতিবন্ধকতায় তা শেষ করা যায়নি। ইতোমধ্যে দুই সিটির বেশিরভাগ ইউনিটের সম্মেলন কাজ শেষ হয়েছে।
আজ শনিবার ২ এপ্রিল ২০২২ইং তারিখ সময়; বিকাল তিন ঘটিকায় রাজধানীর পল্লবী ও রূপনগর থানার অন্ততর্গত ঢাকা ১৬ আসন এলাকার তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জমায়েত হন মিরপুর বাংলা স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে। দেখে হঠাৎ মনে হবে তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এ যেন এক মিলন মেলার উৎসব।
উক্ত সম্মেলন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন খলিলুর রহমান খলিল (সাধারণ সম্পাদক) ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
পল্লবীর অন্তর্গত ৫নং ওয়ার্ড খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে ৫নং ওয়ার্ডের ২০টি ইউনিটের শতশত নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেন। এছাড়াও রূপনগর পল্লবীর ৯২, ৩, ৫, ২ ও ৬ নং ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা উক্ত সম্মেলন সফল করতে যোগ দেন।
উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি শেখ বজলুর রহমান (সভাপতি), ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। উদ্বোধক; এসএম মান্নান কচি (সাধারণ সম্পাদক) ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। উপস্থিত হয়নি বিশেষ অতিথি আলহাজ্ব ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা সংসদ সদস্য ঢাকা ১৬)ও সভাপতি, পল্লবী থানা আওয়ামী লীগ। আরও উপস্থিত ছিলেন সালাউদ্দিন রবিন (সাধারণ সম্পাদক) রূপনগর থানা আওয়ামী লীগ। এসএম সারোয়ার আলম (সাধারণ সম্পাদক) পল্লবী থানা আওয়ামী লীগ। আশিকুর রহমান আশিক (সাধারণ সম্পাদক) পল্লবী ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ। আব্দুর রউফ নান্নু (৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর (ডিএনসিসি) সহ পল্লবী ও রূপনগর থানা এলাকার ওয়ার্ড এবং ইউনিট পর্যায়ের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা।
সম্মেলে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা বক্তব্যে বলেন, আজকের এই সম্মেলের পর পল্লবী ও রূপনগরের ইউনিট পর্যায়ে আগামীতে যারা নেতৃত্ব দিবে অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক যারা অবহেলিত ও ত্যাগি নেতাকর্মী তারাই শুধু স্থান পাবে। উড়ে এসে জুড়ে বসা হাইব্রিডের স্থান দেওয়া হবেনা। টাকার বান্ডিল নিয়ে ঘুরলেও কোনো লাভ হবেনা।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, আগে যারা ওয়ার্ড বা ইউনিট কমিটি গঠন করেছে বেশির ভাগ তারা সুবিধা পেয়ে অযোগ্য লোকদের পদপদবি দিয়েছে। যার কারনে পল্লবীর ২নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর বিএনপির লোক হয়েছে। আমাদের কাছে সব তথ্য প্রমাণ রয়েছে। এবার সেই সুযোগ আর দেওয়া হবেনা। দিনে আওয়ামীলীগ আর রাতে ভিন্নতা, তা হবেনা।
এক বক্তা বলেন, সম্মেলন কেন্দ্রে লক্ষ করা গেছে ঢাকা-১৬ আসনের এমপি-পন্থী কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের দেখা মেলেনি। এরপরেও আওয়ামীলীগের ইউনিট নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বাংলা স্কুল মাঠ প্রাঙ্গন কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়েছে।
সুত্র বলছে, গত ৫ই জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঢাকা ১৬ আসনে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করেন ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা। একই দলের বিদ্রোহীতা করে সতন্ত্র প্রার্থী হন এসএম মান্নান কচি। সে সময় নিবার্চনে পরাজিত হন এসএম মান্নান কচি ও জয় লাভ করেন ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা। সেই থেকে আওয়ামী লীগের দুটি ভাগ ঢাকা ১৬ আসন জুড়ে।
মুলত এ কারনেই তৃণমূলের ত্যাগি ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা কোণঠাসায় চুপসে থাকে। অযোগ্য ও বিভিন্ন দলের বিতর্কিতরা সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফয়দা লুফে নিচ্ছে আওয়ামী লীগের নাম করে।