বৃহস্পতিবার , ২০ আগস্ট ২০২০ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আওয়ামীলীগ
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বি এন পি
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজধানী
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা

মানবপাচার: আন্তর্জাতিক চক্রের সদস্য গ্রেফতার

প্রতিবেদক
বাংলাদেশ একাত্তর
আগস্ট ২০, ২০২০ ১০:২১ অপরাহ্ণ

মানবপাচার: আন্তর্জাতিক চক্রের সদস্য গ্রেফতার।

বাংলাদেশ একাত্তর.কম / উজ্জ্বল বেপারী।  

আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী একটি চক্রের অন্যতম হোতা আমির হোসেন ওরফে সিরাজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গ্রেফতার আমির হোসেন ভালো বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কুয়েতে মানবপাচার করছিলেন।

প্রতারণার মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে আগেই তিনি টাকা হাতিয়ে নিতেন। এরপর কুয়েত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আত্মগোপনে চলে যান পাচারকারী আমির হোসেন।

বুধবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জিসানুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (১৭ আগস্ট) নরসিংদীর মাধবদী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আমির হোসেন ও সিরাজ উদ্দিন দুই নামেই পরিচিত।

সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, বিদেশি গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা যায়, চারজন মিলে দীর্ঘদিন ধরে মানবপাচারকারী এই চক্রটি পরিচালনা করছেন। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে মানবপাচার করে আসছেন।

তিনি বলেন, এ চক্রের সদস্যদের হাতে ৯০০ এর বেশি ভুক্তভোগী কুয়েতে পাচারের শিকার হয়েছেন। জনপ্রতি তাদের কাছ থেকে ছয় লাখ বা তারও বেশি টাকা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পাচারের ফাঁদ হিসেবে গমনেচ্ছুকদের ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কুয়েতে পাঠাতেন। ভুক্তভোগীরা সেখানে গিয়ে চাকরি না পেয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করতেন। সেখানে খাদ্য ও বাসস্থান সংকটের ফলে তারা উদ্ভাস্তু অবস্থায় কুয়েতের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন। এছাড়া পাচারের পর ভুক্তভোগীদের আটকে রেখে নানা নির্যাতন চালাতেন টাকার জন্য।

তিনি আরও বলেন, প্রতারিত হওয়ার পর কয়েকজন ভুক্তভোগী কুয়েতের সরকারি এজেন্সি ও জনশক্তি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। এরপর কুয়েত পুলিশ বিষয়টি তদন্ত শুরু করে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর কুয়েত আদালতে এই চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়। এই চক্রের মূলহোতা একজন কুয়েতি এবং তিন বাংলাদেশি চক্রের অন্যতম সদস্য।

এরপর কুয়েত আদালত তিন বাংলাদেশিকে তিন বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড করেন। একইসঙ্গে কুয়েতের নাগরিক ও চক্রের মূলহোতাকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেন।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী তিন বাংলাদেশি যেকোনো উপায়ে পালিয়ে দেশে চলে আসেন, এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চক্রের অন্যতম হোতা আমির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে আরও দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ - সর্বশেষ সংবাদ