বাংলাদেশ একাত্তর.কম / স্টাফ রিপোর্টারঃ
মহামারি করোনা ভাইরাসের মধ্যেও রাজধানীর অনেকেই মানছেন না যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি। ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ছেন মাস্ক না পড়েই। মাস্ক না পড়ার কারণ জানতে চাইলে বলছেন হরেক অজুহাতের কথা। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে বর্তমান পেক্ষাপটে মাস্ক পড়া ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলা খুবই জরুরী।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সিএনজি চালকদের মাস্ক না পরে সিএনজি চালাতে দেখা যায়। এছাড়াও কিছু বাসের ড্রাইভার এবং হেলপারদের মাস্ক ছাড়া দেখা গেছে। দিনমজুরেরা মাস্ক না পরেই কাজ করে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষ অনেকে অসতর্কতা ও নানা অজুহাতে মাস্ক না পড়েই ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ছেন।
শনিবার (১৫ আগস্ট) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর বনানী, মহাখালী, ফার্মগেট, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, বিশ্বরোড মোড়, ইসিবি চত্বর, কালশী মোড়, মাটিকাটা, মিরপুর ১২, ১১, ১০, ৭, ৬, ২ ও ১ নম্বর এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিপুল সংখ্যক মানুষ মাস্ক না পরেই চলাচল করছেন। পাশাপাশি অনেক পুলিশ সদস্যদের ও মাস্ক পড়তে দেখা যায়নি।
পল্লবী থানা সংলগ্ন বায়তুল সালাম জামে মসজিদ এলাকার বাসিন্দা নাসিম উজ্জামান (জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র) বলেন, এখন আর আমার মাস্ক পরতে ভালো লাগে না। এখন আর করোনার প্রভাব তেমন নেই। করোনা সাইকোলজিক্যাল বিষয়।
রুপনগর এলাকার এক বাসিন্দা সাইদুর বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে এখন আর ভয় করি না। করোনার জন্য তো আর আমার কাজ থেমে থাকতে পারে না। কাজও করতে হবে, বেঁচেও থাকতে হবে। যতোটুকু সাবধান থেকে চলে যায়, ততটুকু সাবধান থাকার চেষ্টা করি।
বনানী এলাকার একটি চায়ের দোকানে মাস্ক না পড়ে তরুণদের আড্ডা দিতে দেখা যায়। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় কেন মাস্ক পড়েন নাই? তারা বলেন, কতক্ষণ এটা পড়ে থাকা যায়। এই গরমের মধ্যে। চায়ের দোকানে আসছি কথা বলতে, আড্ডা দিতে। তাই মাস্ক না পড়ে রিলাক্স করছি এখানে। বাড়ি ফেরার সময় মাস্ক পরে যাবো।
মহাখালী বাস স্ট্যান্ড এলাকার পথচারী মুখে মাস্ক না পরে চলা ফেরা করছিলেন মোঃ রিফাত। তিনি বলেন, আমার কাছে মাস্ক আছে। কিন্তু এখন পড়ি নাই। দেখছেন তো কাধে একটি বড় ব্যাগ নিয়ে হাঁটছি। অনেক গরম লাগছে। মুখ বারবার ঘামিয়ে যাচ্ছে। তাই মাস্ক পড়িনি। একটু পরে আবার মাস্ক পড়বো।
মিরপুর ১২ নম্বর সিএনজি পাম্পের পাশে থাকা মনিরুল বলেন, কত আর পরবো দৈনিক তিন-চারটি মাস্ক কিনতে হয় যে গরম পড়ছে। একটা মাস্ক দিয়ে সারা দিন চলা যায় না। আবার যখন কিনবো তখন পড়বো।