যুবলীগের তরুন রাজনীতিবিদ, যুব সমাজের অহংকার, সমাজ সেবক, উত্তরা ৫১নং ওয়ার্ড যুবলীগের অন্যতম নেতা, ছোট বড় সকলের আস্থাভাজন ইফতেখার জুয়েল।
উত্তরা প্রতিনিধিঃ
বঙ্গবন্ধুর আদর্শনীতি মেনে আওয়ামী যুবলীগের সংগ্রামী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দিকনির্দেশনায় শান্তি শৃংখলা বজায় রেখে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে ৫১ নং ওয়ার্ড যুবলীগ।
ইফতেখার জুয়েল বলেন, আমার বাবা হরিরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নাম্বার জয়েন্ট সেক্রেটারি ছিলেন সেই সাথে থানার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। আমার বাবা মরহুম সিরাজ উদ্দিন হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদে এক বিঘা জমি দান করেন। বর্তমানে আমি রাহেলা খাতুন আইডিয়াল স্কুলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতেছি এবং উত্তরা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের জয়েন্ট সেক্রেটারি দায়িত্ব পালনে আছি।
বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর হাজারো লড়াই, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে কেটে গেছে ৪৮ টি বছর। তবুও দেশ, মাটি ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পিছপা হয়নি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ বরং বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় যুবলীগ দক্ষিণ এশিয়ার একটি সর্ববৃহৎ শক্তিশালী যুব সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
জুয়েল বলেন, আমি মনে প্রানে যুবলীগ করি, দেশের যুব আন্দোলনের পথিকৃৎ শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র গণতন্ত্র, শোষণমুক্ত সমাজ অর্থাৎ সামাজিক ন্যায়বিচার, জাতীয়তাবাদ, ধর্ম নিরপেক্ষতা, সব ধর্মের মানুষের নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালনের অধিকার তথা জাতীয় চার মূলনীতিকে সামনে রেখে বেকারত্ব দূরীকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা সম্প্রসারণ, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও আত্মনির্ভরশীল অর্থনীতি গড়ে তোলা এবং যুবসমাজের ন্যায্য অধিকারসমূহ প্রতিষ্ঠাই যুবলীগের মূল লক্ষ্য।
জুয়েল আরো বলেন, এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্য থেকে স্বাধীনতা ও প্রগতিকামী যুবক ও যুব মহিলাদের ঐক্যবদ্ধ করে তাদের রাজনৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন গড়ে তোলাই যুবলীগের উদ্দেশ্য।
উত্তরার ৫১ ওয়ার্ড এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ইফতেখার জুয়েল যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের ছবি সংবলিত বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন সাঁটানো। অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে ইফেখার জুয়েল আনন্দ উল্লাস নিয়েই সব সময় চলেন, সাধারণ মানুষের আপদে বিপদে সুটে চলেন। জুয়েলের কারনেই এলাকায় কিশোর গ্যাং বলতে কিছু নেই। নিজে নামাজ পড়েন অন্যকে নামাজ পড়তে উৎসাহিত করেন।
কাউন্সিলরের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, জুয়েল সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় বলেই প্রতিপক্ষরা তার বিরুদ্ধে নানা অপ্রচার করে আসছে। কান ভারী করতে চায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের। কিন্তু তদন্ত হলে জুয়েলের পক্ষেই এলাকাবাসিরা সাক্ষ্য দিবে। তিনি আরো বলেন যুবলীগের পদপদবী নেই তারপরও যুবলীগের মিছিল মিটিংয়ে জুয়েল যে পরিমানে অর্থ’ পরিশ্রম খরচ করে লোকজন জোগাড় করে আনে এমন কাজ পদধারী নেতারাও করেনা।