সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, রফিকুল ইসলাম তালুকদারসহ সহদোর ভাই খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠে।
অভিযোগ রয়েছে, সহদোর দুই ভাই এলাকার নিরীহ মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন করে আসছে। তারা রাজনৈতিক শক্তিকে পুজি করে আগের কার সৈরাচারি রাজা বাদশাদের মত সাধারন মানুষের ধনসম্পত্তি লুটপাট করছে। চেয়ারম্যান সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জমি দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। ভুক্তভোগীরা এখন ন্যায় বিচার ও টাকা পাওয়ার আশায় দাড়ে দাড়ে ঘুরপাক খাচ্ছে।
জানা গেছে স্বৈরাচার চেয়ারম্যান এবং তার সহদোর ছোট ভাই, খালেদ চিনাকান্দি বাজারের বেশির ভাগ দোকানে প্রায় ১০ লাখ টাকার মতো যাবতীয় জিনিসপত্র বাকিতে নিয়ে টাকা পরিশোধ করেনাই। তারই মধ্যে রয়েছে, টিনের দোকান, মোটরসাইকেলের পার্টসের দোকান, মুদির দোকান সহ অসংখ্য দোকানে বকেয়া। এমনকি পান দোকান্দার, মুচি দোকানীও বকেয়া টাকা পায়। কিন্ত ভয়ে চাইতে পারেনা। এসকল দোকানীরা বকেয়া টাকা না পেয়ে দিশেহারা। বিশস্ত সুত্র বলছে বিশ্বম্ভরপুর থানায় সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার ও তার ছোট ভাই খালেদ মাহমুদ তালুকদারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি অফিসে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা পড়েছে। বিশ্বম্ভরপুর থানা ছাড়াও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও দুদক কার্যালয়েও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা করা হয় চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে উন্নয়নের টাকা আত্মসাৎ, ব্রিজ ও কালভার্ট নিম্নমানে শুভংকরের ফাঁকি। এছাড়াও শহীদ মিনার ও সরকারি খাস জায়গা দখল ও চাঁদাবাজীর একাধিক অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ আছে বিচার শালিসের নামেও দুই পক্ষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেন সাবেক এই চেয়ারম্যান।
স্থানীয়রা বলেন আমরা রফিক ও তার ছোট ভাই খালেদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। আমাদের এলাকায় থাকাটাও মুশকিল হয়ে পড়েছে। তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে কে! থানা-পুলিশ তাদের কথা মত চলে। তারা আরো বলেন তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণে চিনাকান্দি বাজারে ছাইফুল ইসলাম নামে এক যুবককে পিটিয়েছে সাবেক চেয়ারম্যান রফিকের লোকজন, ছাইফুলকে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সুস্থ হয়ে থানায় অভিযোগ করলে থানা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি বরং উল্টো ভুক্তভোগীরাই পুলিশি হয়রানির শিকার হন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী বলেন, থানায় অভিযোগ না করতে পেরে চরম ভোগান্তিতে পরে। এখন সৈরাচার সাবেক চেয়ারম্যান ও সহোদর ভাই প্রতিনিয়ত তাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
তারা আরো বলেন আমরা নিজেরাই হতবাক হয়ে যাই যখন থানায় রফিক ও খালেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গেলে উল্টো বিচার প্রার্থীরাই হয়রানির শিকার হয়। তাহলে সাধারণ মানুষ ন্যায় বিচার কোথায় পাবে!
অভিযোগে সত্য নয় দাবী করে রফিকুল ইসলাম বলেন চিনাকান্দি বাজার আমার আমাদের সম্মতি। আমার কাছে বকেয়া টাকা কোনো দোকান্দার-ই পাবেনা। যারা অভিযোগ করেছে তারা কোনো দোকানদার নয়, তিনি আরো বলেন আমি সামনে নির্বাচন করবো তাই প্রতিহিংসা করে আমার বিরুদ্ধে অপ্রচার করছে।
খালেদ মাহমুদ তালুকদার বলেন, আমার জানা মতে কোন দোকানদার আমার কাছে কোন ধরনের টাকা পাবেনা, তাছাড়া যে ধরনের অভিযোগ উঠেছে এগুলো একদম মিথ্যা ও বানোয়াট।
বিশ্বম্ভরপুর থানার (ওসি) সুরঞ্জিত তালুকদার জানান, ভুক্তভোগীদের যে ধরনের অভিযোগ রয়েছে, সে বিষয়টি আমার আমলে নেই, তারপরও যদি কোন ভুক্তভোগী অভিযোগ করে তাহলে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবো।