সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের মাঝেরটেক গ্রামের রাজু ফকিরের ছেলে মামলাবাজ আব্দুল্লাহ’র পথে হাটতে বাধ্য করে ছোট বোন রাজিজুন্নাহার রাজিয়াকে। পরিবারের জোরপূর্বক চাপে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করে এখন কাঁদছে স্ত্রী রাজিয়া।
রাাজিয়া মামলায় উল্লেখ করে তার স্বামী আজিজুল ইসলাম গাঁজা মদ সেবন করে ও তাকে (রাজিয়া) নির্যাতন করে। আরও উল্লেখ করে, বিয়ের দিন দেড় লক্ষ টাকা যৌতুক নেয় এবং বিয়ের পর থেকে আরও দুই লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য বার বার নির্যাতন করে তার স্বামী।
স্থানীয়রা বলছেন ভিন্ন কথা। আজিজুল কে কখনো সিগারেট খেতে দেখেনি এলাকার কেউ। গাজা মদ খাওয়া তো দুরের কথা। সংসারে স্বামী স্ত্রীর ছোটখাটো ঝগড়া হতে পারে তাই বলে থানা আদালত গড়াবে এটা কাম্য নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজিয়ার ভাই আব্দুল্লাহ ঘনিষ্ঠ সুত্রে জানা যায় যৌতুক চাওয়া সম্পুর্ন মিথ্যা কথা। ছেলেটার উপর প্রতিশোধ নিতে বোন কে দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে ভাই আব্দুল্লাহ। আব্দুল্লাহ চাচ্ছে তার বোনের ছাড়াছাড়ি হলে দেনমোহরের পুরোটাই টাকাই নিজে খাওয়ার ধান্দা করছে।
তিনি আরো বলেন, আব্দুল্লাহ লোকজন নিয়ে তার বোনের স্বামীর বাড়ী থেকে জোরপূর্বক সব মালামাল নিয়ে আসছে। এখন উল্টো স্বামীর বিরুদ্ধেই মামলা করিয়াছে তার বোন কে দিয়ে।
বিষয়টি এলাকার সুশীল সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিরাও অবগত রয়েছে। তারা সামাজিক ভাবে দুপক্ষকে বসে সমাধানের তারিখ দেওয়া হলে আব্দুল্লাহ ও তার বোনের পক্ষে কেউ আসেনি।
এ মিথ্যা মামলার সাক্ষী ১ ও ২ রাজিয়ার ভাই আব্দুল্লাহ ও পিতা রাজু ফকির। ৩নং স্বাক্ষী করা হয়েছে আক্তাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে মোঃ ইউনুসকে। ইউনুসের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কবে বিয়ে হয়েছে বা কবে মামলা হয়েছে তা আমার জানা নেই। যদি কেউ আমাকে স্বাক্ষী করে মামলা করে তবে সেটি ঠিক করেনি, কারণ ঘটনার কোনো কিছুই তো আমি জানিনা।
এবিষয়ে (মামলার বাদী) রাজিজুন্নাহার রাজিয়া জানান, আমি স্বামীর সংসার থেকে কখনও আসতে চাইনি। জীবন গেলেও আমার স্বামীকে ছাড়তে পারবোনা। রাজিয়া আরও জানান, মামলা সম্পুর্ন মিথ্যা। আমি আমার পরিবারের চাপের মুখে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি। আমার স্বামীর বাড়ির সকল মালামাল আমার বড় ভাই আব্দুল্লাহ’র কারণেই আনতে বাধ্য হয়েছি। আমি আমার স্বামীর সংসার করতে চাই।
স্বামাী আজিজুল ইসলাম জানান আমাকে তাদের বাড়িতে জিম্মি করে আমার বাড়ির সকল মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে আমার শশুরবাড়ির লোকজন।
আজিজুল আরও জানান, সংসারে সাধারণত ভুলবোঝাবুঝি হতেই পারে তাই বলে কেউ কি সংসার ভেঙে ফেলে? আমি কখনও সংসার ভাংতে চাইনি কিন্তু তার ভাই আব্দুল্লাহ আমাদের সংসার ঠিকতে দিচ্ছেনা।