রাজু আহমেদ; প্রকাশিত ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ইং
বিএনপির ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিনকে দলীয় পদসহ সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৩১ জানুয়ারি ২০২৫, এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক ও সদস্য সচিব মোস্তফা জামান এই স্থগিতাদেশ অনুমোদন করেন। বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক (দপ্তরের দায়িত্বে) এ বি এম এ রাজ্জাক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিজাম উদ্দিন দলীয় নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, যা দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী।
স্থানীয়দের অভিযোগ;
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিজাম উদ্দিন অতীতে আওয়ামী লীগ নেতা ও চাঁদাবাজ লতিফ মোল্লার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। সেই সময় তিনি দুয়ারীপাড়া ও আশপাশের এলাকায় জমির কাগজপত্র জালিয়াতি করতেন এবং বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে গোপনে চাঁদা আদায় করতেন। অনুগত না হলে লতিফ মোল্লার বাহিনী দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হতো।
বিএনপির নেতা হওয়ার পরও নিজাম উদ্দিনের অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ হয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তারা জানান, ওয়াকফ সম্পত্তি ও অন্যান্য প্লটের নির্মাণাধীন ভবনের কাজের নিয়ন্ত্রণ তিনি নিজের হাতে রেখেছেন। ঠিকাদারদের বাধ্য করা হচ্ছে তাঁর সঙ্গে কাজ করতে, না হলে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেওয়া হয়।
এলাকায় তিনি “ওসি মোকাম্মেলের ভাই” পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রভাব বিস্তার করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাঁর গ্রামের বাড়ি ভোলা হলেও দীর্ঘদিন ধরে তিনি রুপনগর এলাকায় অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। বিএনপির শাসনব্যবস্থা কায়েম হলে তিনি প্রকাশ্যে দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে আবারও চাঁদাবাজি ও দখলদারির মতো কার্যকলাপ শুরু করেছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন।
স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি;
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বিএনপি শুধু তিন মাসের জন্য স্থগিত না করে চিরতরে নিজাম উদ্দিনকে দল থেকে বহিষ্কার করলে দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। একাধিক বাসিন্দার মতে, নিজামের মতো বিতর্কিত ব্যক্তিদের দলে রাখা হলে বিএনপির প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা কমে যাবে। তাই দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করলে বিএনপির জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে বলে তারা মনে করেন।
বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, দলের অভ্যন্তরীণ তদন্তের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।