নিজস্ব প্রতিবেদক:
সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪ ইং।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক ও ঢাকা ১৬ আসনের মাটি ও মানুষের নেতা আমিনুল হক বলেন, গত ০৯ নভেম্বর শনিবার রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঢাকা মহানগর উত্তরের ২৬ টি থানা ও ৭১ টি ওয়ার্ডের সকল দলীয় নেতাকর্মীদেরকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে ব্যানার, ফেস্টুন,পোস্টার ও দলীয় কার্যালয় অপসারণ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন; তারই অংশ হিসেবে আমি আজকে পল্লবী ও রুপনগরের বিভিন্ন স্পষ্টে সরেজমিনে এসে ব্যানার পোস্টার ফ্যাস্টুন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ নিজ হাতে করছি।
আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে পল্লবীর ইষ্টার্ণ হাউজিং ঘরোয়া মোড় ও দোয়ারীপাড়া এলাকার বিভিন্ন এলাকায় দলীয় ব্যানার,ফেস্টুন,পোস্টার ও দলীয় অফিস অপসারণকালে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে বক্তব্যে আমিনুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি জনস্বার্থে রাজনীতি করে, সাধারণ জনগণ কি চায়? জণগণ কি প্রত্যাশা করছে? জনগণের চাওয়া ও প্রত্যাশা নিয়েই বিএনপি এগিয়ে যেতে চায়। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার- ভোটের অধিকার ফিরে না আসা পর্যন্ত- একটা উন্নত-সমৃদ্ধ ও সুন্দর এবং শান্তিময় বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা লড়াই করে যাবো। আমি ঢাকা ১৬ আসনের মানুষের জন্য কিছু করতে চাই, যা বিগত আওয়ামীলীগ আমলে মানুষ প্রত্যাশায় থেকেও পায়নি। তাদের জন্য আমি কাজ করতে চাই আপনারা আমাকে সহযোগীতা করুন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক পেক্ষাপটে আমাদেরকে এলাকার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ব্যানার,পোস্টার,ফেস্টুন,বিলবোর্ড সহ বিভিন্ন জিনিস লাগাতে হয়, আবার অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ এটাকে ভালো চোখে দেখে না। সেই জায়গা থেকেই আমরা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে- আমাদের ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের থানা-ওয়ার্ডের দলীয় বিলবোর্ড,ব্যানার,পোস্টার ও ফেস্টুন নামিয়ে সবকিছু পরিষ্কার করে ফেলতে হবে এবং সকল দলীয় কার্যালয় অপসারণ করতে হবে। মানুষের কল্যানের জন্য সব সময় কাজ করে যাবে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতাকর্মীরা। কিন্তু অন্যদিকে মানুষ ভাবছে- বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ যা করেছে, বিএনপি ও সেটাই করছে বা করবে, সেই বদনামের দায়ভার আমরা নিতে চাই না।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আমিনুল হক বলেন, বিএনপি দলের সিদ্ধান্ত যে নেতাকর্মী মানবেনা সে দলের কেউ-ই হতে পারেনা। আওয়ামী লীগ যে ভূল করেছে, আমরাও যদি একই ভূল করি তাহলে আওয়ামী লীগের সাথে আমাদের পার্থক্য রইলো কোথায়? আওয়ামী লীগ বিগত ১৭ বছরে অবৈধভাবে জায়গা দখল করে অফিস বানিয়েছে, কিন্তু তারা আমাদেরকে কোন রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে একটা অফিস ও ব্যবহার করতে দেয় নাই। তারপরও আমরা হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দলের অনেকেই অতি উৎসাহিত হয়ে, তারা ভূল করে, আওয়ামী লীগের দখলকৃত জায়গা পুনরুদ্ধার করতে গিয়েছে; আসলে পুনরুদ্ধার করতে গেলে কিন্তু সেটাকে আর পুনরুদ্ধার বলে না! অনেকেই এটাকে নিয়ে ভাবছে- আগে আওয়ামী লীগ দখল করেছে। এখন বিএনপি ও এসে আবার এটাকে পুনরায় দখল করে নিয়েছে। আমরা কিন্তু এই বদনামের ভাগিদার হতে চাই না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা মাহাবুব আলম মন্টু, রুপনগর থানা বিএনপির আহবায়ক জহিরুল হক,সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইন্জিঃ মজিবুল হক, যুগ্ম আহবায়ক অলিউল হাসনাত তুহিন,পল্লবী থানা যুবদলের সভাপতি হাজী নূর সালাম, রুপনগর থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি শফিকুর রহমান মামুন, জাসাস ঢাকা মহানগর উত্তর এর যুগ্ম আহবায়ক আসরাফ আলী লিটন,পল্লবী থানা ছাত্রদল সভাপতি জুয়েল খন্দকার,পল্লবী থানা মহিলাদল সভাপতি লাকী রহমান, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা দিলারা পলি সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।,
