কুমিল্লা প্রতিনিধি/সাদ্দাম হোসেন মুন্না: প্রকাশিত/শুক্রবার/২৬/০৩/২০২১ইং/
আইসিএলের শত কোটি টাকা আত্মসাৎকারী আলমগীর কবির মজুমদার ওরপে লুঙ্গি আলমের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। বাংলাদেশ একাত্তর.কম এ সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরই প্রশাসন নড়েচড়ে উঠে। এরপর থেকেই লুঙ্গি আলম গা-ঢাকা দেন।
আইসিএলের কোটি টাকা আত্মসাৎকারী কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ৫নং শুভপুর ইউনিয়নের যশপুর গ্রামের পাশাকোট গ্রামের মৃত কালা মিয়া মজুমদারের ছেলে। লুঙ্গি আলম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রুপধারন করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে নামে-বেনামে অঢেল সম্পত্তির মালিক হন।
আজ শুক্রবার লুঙ্গি আলম তার সহযোগী নজরুল ইসলাম বাবরকে কুমিল্লার সুয়াগাজী থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশের বিশস্ত সূত্রে জানাগেছে।
লুঙ্গি আলমের ঘনিষ্ঠরা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন আলমগীর কবির মজুমদার ওরপে লুঙ্গি আলম মাত্র কয়েক বৎসরের ব্যবধানে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যান। রহস্যময় লুঙ্গি আলমের প্রকাশ্যে কোন ব্যবসা বাণিজ্য নাই। ৫বৎসর পূর্বেও যার নুন আনতে পান্তা ফুরাতো সংসারে মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তানের ভরন পোষনের জন্য ঢাকায় হাতুড়ী কোদাল নিয়ে পুরাতন বাড়ি ভাঙ্গার কাজ করত সেখানে এ অল্প সময়ের ব্যবধানে হাজার কোটি টাকার মালিক হলেন কিভাবে তা নিয়ে চৌদ্দগ্রাম ও কুমিল্লার সর্বত্রে আলোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
জানা যায় কয়েক বৎসর পূর্বেও জীবিকার তাগিদে আইসিএল গ্রুপের মালিক শফিকুর রহমানের ওখানে প্রথমে চাকুরী করতেন। বনিবানা না হওয়ায় সেখান থেকেও বিতাড়িত হন। পরে কিছুদিন সর্বহারার মতো দেশের বিভিন্ন জায়গায় কর্ম খুজে। অবশেষে ধর্মের লেবাস পড়ে শর্শীনার পীরের মুরিদ হয়ে সম্পূর্ণ হুজুর সেজে পুনরায় আইসিএলের শফিকের কাছে ধর্ণা দেন। শফিক তার প্রতিষ্ঠানের জমি ক্রয়/বিক্রয়ের জন্য ব্রোকার/দালাল হিসেবে নিয়োগ দেন।
আইসিএলের শফিকুর রহমান জাতীয় পার্টিতে যোগদানের পর বিশ্বাস করে এই লুঙ্গি আলমকেই এলাকার রাজনীতি দেখা-শুনার দায়িত্ব দেন। পরবর্তীতে তার নিজ ইউনিয়নের রাজনীতি নিয়ন্ত্রনের জন্য লুঙ্গি আলমকে ৫নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বানান। ২০১৩ সালে আইসিএল বন্ধ হয়ে যায়। শফিকুর রহমান দেশের বাহিরে চলে যান। জনশ্রুতি রয়েছে, দেশ ত্যাগ করার প্রাক্কালে তার রাজনৈতিক সহযোগি এবং নিজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে সরল বিশ্বাসে শত শত কোটি নগদ টাকা ও অনেক সম্পত্তি লুঙ্গি আলমের নিকট গচ্ছিত রেখে যান। যাতে এলাকার লোকদের টাকা পরিশোধ করা যায়। কিন্ত লুঙ্গি আলম সব টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপন করে। শফিকুর রহমান পরবর্তীতে দেশে ফিরে এলেও তাকে আর এই টাকা ফেরৎ না দিয়ে উল্টো সফিকুর রহমানকেই বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠান।