বাংলাদেশ একাত্তর.কম/বরিশাল প্রতিনিধি:
দেখার কেউ নেই বরিশাল সদর লঞ্চঘাটে স্টাফদের টানাটানিতে যাত্রীরা হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই।,
দেখা যায়, লঞ্চঘাটে সারি সারি লঞ্চ বাঁধা রয়েছে। ৩ ও ৪ তলা লঞ্চ, এক সাথে একাধিক লঞ্চ ছাড়ার প্রতিযোগিতা চলে। কোনো সিরিয়াল নেই, যে লঞ্চ আগে ভরবে সেটি ছেড়ে যাবে। যে কারণে লঞ্চ স্টাফরা যাত্রীদের এক প্রকার জবরদস্তি করে যাত্রীদের হাত বা কাধে থাকা ব্যাগ ধরে টানাটানিতে মগ্ন থাকে। যাত্রী নারী বা পুরুষ সেটি দেখার সময় নেই তাদের। কার আগে কে যাত্রী তুলে লঞ্চে তুলতে পারে সেই প্রতিযোগিতা-ই চলে স্টাফদের মধ্য। এমন কি তরুণ তরুণীদের দেখলেই স্টাফরা এসি কেবিন শুয়ে ঘুমায়ে যাবেন খুব মশকরার ছলে বলেন। লঞ্চঘাটে উঠতি ও মধ্য বয়সের নারীরাও ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত লঞ্চ স্টাফদের এহেন কর্মকাণ্ডে এক প্রকার অতিষ্ঠ যাত্রীরা।
বরিশাল লঞ্চঘাটে ব্যাংক কর্মকর্তা সুমন নামের এক ব্যক্তি বাংলাদেশ একাত্তর.কম’কে বলেন, পরিবার সহ লঞ্চে চড়ে ঢাকায় যাবো কিন্তু লঞ্চের কাছে যাওয়া মাত্রই তিন-চার লঞ্চ স্টাফ আমাদের টানাটানি করে। আমরা খুবই বিব্রতক হয়েছি। আরেক যাত্রী জুলহাস পেশায় ব্যবসায়ী তিনি বলেন লঞ্চে চড়ে ঢাকায় যাওয়ার ইচ্ছা ছিলো, কিন্তু লঞ্চ স্টাফদের যেমন চিল্লাচিল্লি তেমন টানাটানির খপ্পরে পড়ে আমি আর লঞ্চে যাবোনা, বাসে চড়ে ঢাকা যাবো। প্রতিদিন এমন বহু যাত্রী তাদের হেনস্তার শিকার হচ্ছেন কিন্ত ঘাটে কোনো প্রতিবাদ করা যাবেনা। কারন সেখানে তাদের আইন চলে।
এ-বিষয়ে জানতে লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। স্টাফরা বলছেন মালিকরা কই থাকে কিভাবে কমু।