বাংলাদেশ একাত্তর.কম/সুমন হোসেন:
রাজধানীর রূপপনগর থানাধীন এলাকায় বকেয়া বেতন কমানোর দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে মনিপুর স্কুল ও কলেজের অভিভাবকরা।
বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় রুপনগরে অবস্থিত মনিপুর স্কুল ও কলেজের রুপনগর ক্যাম্পাসের সামনে কয়েক’শ অভিভাবক জড়ো হয়ে এ বিক্ষোভ করেন। পরে বিক্ষোদ্ধরা মুল সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। এ সময় রুপনগর , শিয়ালবাড়ি ও দুয়ারিপাড়াসহ আশেপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে রুপনগর থানার পুলিশ সদস্যরা দাবি পুরনের আশ্বাস দিয়ে বিক্ষোভকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেন।
বিক্ষোভকারী কয়েকজন অভিভাবক বাংলাদেশ একাত্তর.কম’কে জানান করোনায় মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও মনিপুর স্কুলের বেতন আদায় বন্ধ নেই। স্কুল কর্তৃপক্ষ এ মাসের ২৯ তারিখ পরীক্ষা নিবে। সে জন্য সময় বেঁধে দিয়েছে ২০ তারিখের মধ্যে মার্চ থেকে সেপ্টম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে প্রবেশ পত্র নিতে হবে। কারো কম দেয়ার সুযোগ নেই। কয়েকজন অভিভাবক বেতন পরিশোধ করে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করলেও বেশিরভাগ অভিভাবকের বেতন দেয়ার সামর্থ্য নেই। কারন করোনায় সবাই আর্থিক সংকটে ভুগছেন। অভিভাবকদের দাবি ছিল বেতন যেন অর্ধেক করা হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তে অনড়। বকেয়া বেতন পরিশোধ ছাড়া কাউকে পরীক্ষা দিতে দিবে না মনিপুর স্কুল কর্তৃপক্ষ।
সপ্তম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক লিয়াকত আলী বাংলাদেশ একাত্তর.কম’কে বলেন, আমার মেয়ের মাসিক বেতন ৩০০০ হাজার টাকা। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিল, পানি বিল সহ আইসিটি ফি রয়েছে। যেহেতু করোনার কারনে স্কুল বন্ধ তাই এই বিল গুলো বাদ দিয়ে কর্তৃপক্ষ বেতন কমাতে পারে। বেতন অন্তত অর্ধেক না কমিয়ে কিছু তো কমাতে পারে। কিন্তু তাতেও তারা রাজি নয়। বাধ্য হয়ে সবাই রাস্তায় নেমেছে। এর আগে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া হলেও তার ফল প্রকাশ করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। তিনি আরো বলেন, আজ আন্দোলন করার পর কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার পর শনিবার স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সাথে ৫ জন অভিভাবক প্রতিনিধি বসবে। সেখানে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে দাবি দাওয়া তুলে ধরা হবে।
এ দিকে সকাল সাড়ে এগারোটায় রুপনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বিক্ষুদ্ধ অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের মতো আমার সন্তানও স্কুলে পড়ে। এ স্কুলেও আমার সন্তান রয়েছে। সব শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারবে। বেতনের জন্য কারো পরীক্ষা বন্ধ থাকবে না। গুজবে কেউ কান দিবেন না। আন্দোলনের দরকার নেই। স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে আমার কথা হয়েছে। এখানে উপস্থিত ৫ জন অভিভাবক প্রতিনিধি আগামী শনিবার স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির কাছে তাদের দাবি দাওয়া তুলে ধরবেন। আশা করি সমস্যার সমাধান হবে।