প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রহরীদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবি।
বাংলাদেশ একাত্তর.কম / উজ্জ্বল বেপারী।
দপ্তরী কাম প্রহরীদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরসহ আরও চার দাবি জানিয়েছে দপ্তরী কাম প্রহরীদের মহাজোট।
সোমবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১০ টার দিকে রাজধানী মিরপুর-১ নাম্বার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে এই দাবি জানান মহাজোটে অংশগ্রহণ কারীরা।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত ও গতিশীল করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দিয়ে ব্যাপক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের প্রতি অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাই। উন্নয়নের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে প্রাথমিক শিক্ষার অংশ হয়ে দেশ গড়ার কাজে সহায়ক ভূমিকা পালনে আমরা অঙ্গিকার বদ্ধ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৃষ্ট পদে নিয়োগের পর থেকে আমরা সততা ও কর্তব্যপরায়ণতার সাথে পালন করে আসছি।
একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেও আমরা ন্যায্য বেতন-ভাতা পাইনা। এরমধ্যে আবার বিভিন্ন জেলার বেতন বিভিন্ন ধরনের। কোন উপজেলায় ১৪ হাজার ৪৫০ টাকা আবার কোথাও ১৬ হাজার ১৩০ টাকা করে বেতন পাচ্ছে। আবার কোন উপজেলায় উৎসব ভাতা পাচ্ছে, কোথাও পাচ্ছে না। অমানবিক ও নজিরবিহীনভাবে আমাদের দিয়ে দাপ্তরিক কাজ ও রাতে পাহারা দায়িত্ব পালন করতে হয়। ২৪ ঘন্টা ডিউটি পালন করতে গিয়ে আমরা স্ত্রী-সন্তান ও পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছি।
দাবিগুলো হলো:
১. দপ্তরী কাম প্রহরী পদটি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে।
২. মহামান্য উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. আইন অনুযায়ী কর্মঘন্টা নির্ধারণ করতে হবে।
৪. চলমান বেতন ও উৎসব ভাতা বৈষম্য দূর করতে হবে।
৫. নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।