বাংলাদেশ একাত্তর; কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার দেবিদ্বারে গত বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী আলমগীর হোসেনের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ চলাকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতায় বিদ্যালয় ত্যাগ করেন প্রধান শিক্ষক কাজী আলমগীর হোসেন।
ঘটনার দিন বিকেলে ওই শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসে ছবি তুলে তার নিজের ফেসবুকে পোস্ট দেন। পোস্টে লেখেন ‘আমাদের সু-সম্মানিত আলমগীর স্যার কোথায়’ এরপর মুর্হূতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিটি ভাইরাল হয় শুরু সমালোচনা।
পরে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ইউএনও ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক কাজী আলমগীর হোসেনের কাছে ক্ষমা চাইলে প্রধান শিক্ষক তাকে ক্ষমা করে দেন। চেয়ারে বসা ওই ছাত্রের নাম ইকরামুল হাসান। সে দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
নিজের ভুল বুঝতে পেরে শিক্ষার্থী ইকরামুল হাসান জানায়, আমি আবেগে স্যারের চেয়ারে বসেছি। স্যারের চেয়ারে বসা আমার ঠিক হয়নি। স্যারের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। স্যার আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। ভবিষ্যতে এমন ভুল আর কখনই করববো না।
প্রধান শিক্ষক কাজী আলমগীর হোসেন বলেন, সে এসএসসি পরীক্ষার্থী। ছোট মানুষ ভুল করেছে, ক্ষমা চাওয়ায় আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। সে এমন ভুল আর কখনই করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালানা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিগার সুলতানা বলেন, শুক্রবার রাতে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসা শিক্ষার্থীর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে রোববার বিকেলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ওই শিক্ষার্থী ক্ষমা চাইলে প্রধান শিক্ষক তাকে ক্ষমা করে দেন। ওই শিক্ষার্থী এমন কাজ আর কখনই করবে না মর্মে অঙ্গীকার করেছে।
গোপন সুত্র বলছে, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের খেপিয়ে তুলে একটি চক্র। ওই চক্রটির টার্গেট ছিলো প্রধান শিক্ষক চেয়ার দখল করা।