বাংলাদেশ একাত্তর.কম/নিজেস্ব প্রতিবেদক:
ভিতর বাহির নোংরা অপরিষ্কারে যুক্ত দায়ীত্বে থাকা কর্তাদের নির্ঘাৎ অবহেলা।
ড্রেনের ময়লা পানিতে তলিয়ে গেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের স্টাফদের টয়লেট। অপরিষ্কার নোংরা দুর্গন্ধ যুক্ত। টয়লেট সহ আশপাশে নোংরা অপরিষ্কার, বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়ের আস্তানা। টয়লেটে জরুরি কাজের সময় নাক থেকে কাপুড় সরলেই বমির অবস্থা হয়। বিশ্ব মহামারী করোনা সংক্রমণ রুখতে পরিষ্কার পরিছন্ন নগরী গড়ার কথা মুখে বললেও তাদের কার্যালয় ও আশেপাশে পরিষ্কারের বিন্দু মাত্র বালাই নেই বললেই চলে। অথচ খোদ পল্লবী ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় বা ২নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারের টয়লেটের এমন দুরবস্থা দেখে হতবাক ২নং ওয়ার্ডে আসা সেবা প্রত্যাশীরা।
পল্লবী ২নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারের নীচতলায় ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়। কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন নিয়মিত অফিস করলেও তার নজরে নেই এমন দুরবস্থা। পল্লবী ২নং ওয়ার্ডের মুল ফটক দিয়ে প্রবেশ করে সোজা গিয়ে হাতের ডান পাশে ছোট্ট একটা রুমের ভিতর তিনটা টয়লেট। যার একটিতেও দরজার ভালো নেই, ভাঙ্গা চুরা, একটি টয়লেটের প্যান ভেঙে কত বছর আগেই বা নষ্ট হয়ে ময়লা জমে আছে হয়তো কেউ বলতেই পারবেনা। আরেকটির টয়লেটের দরজা ও পানির কল ভাঙ্গা। অন্যটির অবস্থা কি আর বলবো।
দেখাগেছে গতকাল বৃহস্পতিবার এক মহিলাকে প্লাস্টিকের খালি বোতল কুড়িয়ে পানি ভরে টয়লেট মুখি হতে। অনেকেই জরুরি বড় কাজ বা ছোট কাজ সেরে নিচ্ছে এভাবেই। টয়লেট টি ২নং ওয়ার্ড সিটি কর্পোরেশনের অধীনে বা ২নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারের অধীনে সেটি মুখ্য বিষয় নয়। টয়লেটে কেউ বেড়াতে বা ঘুরতে যান না। প্রয়োজনে বা বিপদে পড়েই সেখানে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রত্যাশীরা যান।
প্রতিনিয়ত কমিউনিটি সেন্টারের স্টাফরাই টয়লেটটি বেশি ব্যবহার করে ফলে রোগ ব্যাধি যে-কোন সময় এই নোংরা টয়লেটের কারণে গোটা ২নং ওয়ার্ড সহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের তদারকিতে পরিছন্ন কর্মীরা প্রতিদিন এলাকার ড্রেন, বাসা বাড়ীর আশপাশে পোকা মাকড় ধ্বংসে কাজ করে চলেছেন। অথচ তাদের নিজেদের ব্যবহারিক টয়লেটের ভিতর ও আশেপাশে ময়লা জমে মাটি হওয়ার উপক্রম। অনেকেই টয়লেটের ভিতরে না গিয়ে টয়লেটের সামনেই ছোট কাজ গুলো সেরে নিচ্ছে।