রাজু আহমেদ-আপডেট; ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ইং
ঢাকার মিরপুর ১২, এ ব্লক এলাকায় রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার কোম্পানি বিটিআই (BTI)-এর বিরুদ্ধে সড়কের গাছ কেটে নির্মাণ সামগ্রী রাখার স্থান তৈরির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, বিটিআই কোম্পানি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজের জন্য প্রায় ৫০টি গাছ কেটে ফেলেছে। এ ঘটনাটি ডিএনসিসির ২নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন রোড নম্বর ৩ এবং পল্লবী পুরাতন থানার মূল সড়কের পাশে ঘটেছে।
প্রতিদিন বিভিন্ন পেশার মানুষ বিকেল ও সন্ধ্যায় এই জায়গায় সময় কাটাতেন। গাছগুলো শুধু ছায়া ও অক্সিজেন সরবরাহ করত না, বরং এলাকার পরিবেশ ও সৌন্দর্য্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। এখন সেই জায়গাটি নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ভরে গেছে, যা এলাকাবাসীর জন্য দুঃখজনক ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চারুলতা নামক একটি স্কুলের জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য বিটিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কাজ শুরুর আগে সড়কের পাশের ফুটপাত ঘিরে থাকা গাছগুলো কেটে ফেলে কোম্পানিটি। এ ঘটনায় স্থানীয় সামাজিক ও সুশীল সমাজের মানুষজন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
বিটিআই-এর নামে থাকা সাইটে সংযুক্ত সাইনবোর্ডের বারকোড স্ক্যান করে যোগাযোগ করা হলে, সেখান থেকে জানানো হয়, “আমাদের কোনো সাইট আপাতত চলমান নেই। সাইট ইঞ্জিনিয়ার বা ম্যানেজারের সাথে কথা বলুন। মালিকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব নয়।” তবে সরেজমিনে দেখা যায়, প্লটের ভিতরে বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ পুরোদমে চলছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পরিবেশ অধিদপ্তরও এ বিষয়ে এখনো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
পরিবেশবাদীরা বলেন, গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংস করা আইনত অপরাধ। উন্নয়নের নামে এ ধরনের কাজ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তারা অবিলম্বে দোষীদের শাস্তি এবং কাটা গাছগুলোর পরিবর্তে নতুন গাছ লাগানোর দাবি জানিয়েছেন।
সচেতন মহল মনে করে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও সক্রিয় ভূমিকা জরুরি। উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংস না করে, টেকসই উন্নয়নের পথ অনুসরণ করার আহ্বান জানান তারা।