বাংলাদেশ একাত্তর: নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর পল্লবী থানাধীন এলাকার আদর্শ নগর খালপাড় এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক জুতার দোকান্দার কে কুপিয়ে যখম করে যুবলীগ নেতা কাম ড্রাইভার খালেকুজ্জামান জীবনের ছেলে পল্লবীর আতংক” ভৈরা’দে” গ্রুপের কিশোর গ্যাং লিডার আশিক সহ গ্যাংয়ের সদস্যরা।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ১১ মে, ২০২৩ ইং তারিখে পল্লবীর বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকেই অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান আশিকসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে পল্লবী থানা পুলিশ।
জানা গেছে, আশিকের বাবা খালেকুজ্জামান জীবন যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি ঢাকা ১৬ আসন এমপি প্যানেল এর রাজনীতি করেন)
বসবাস করে তালতলাবস্তি ওরপে পোড়া বস্তি বর্তমানে নতুন নাম করণ (অস্থায়ী) নান্নু সুপার মার্কেট-২, বা কাউন্সিলর ৩নং অফিস বস্তি। কিশোর গ্যাং আশিকের ওই বস্তিতেই বেড়ে উঠা। বাবার সাথে থেকেই ছেলে আজ ভৈরা’দে গ্রুপের প্রধান উপাধি অর্জন করেছে।
এলাকা সুত্রে জানাযায়, বিভিন্ন বাসা-বাড়ী কনস্ট্রাকশন সাউডের মালামাল লোহা, পাইপ, টিন চুরি শুরু হলেও পরে ছিনতাই গ্রুপে যোগদান করে। বর্তমানে সে একটি বাহিনী তৈরি করে এলাকার বিভিন্ন কারখানায় চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে কেউ অপারগতা প্রকাশ করলেই বাহিনীর সদস্যদের হুকুম দেয় আশিক “ভৈরা”দে। আশিক বাহিনীর রাম দা”র কোপ, ছুরিকাঘাতে বহু মানুষ এখনো অসুস্থ, মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে হাসপাতালের বিছানায়।
আরো জানাযায়, ছেলেকে অপরাধীর পথে এগিয়ে দেওয়ার পিছনে মুল ভুমিকা তার বাবা যুবলীগ নেতা খালেকুজ্জামান জীবন ও মায়ের বিশাল অবদান রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ভৈরা” দে গ্রুপের প্রধান আশিক (২৩), আল আমিন(২০), মো. রাব্বি (২০), মো. শামীম(১৮), মো. আজিজুল (১৮), মো. মারুফ (১৯), ইব্রাহিম (১৬), সূজন (১৭) ও রাশেদ (১৬)।
গ্রেফতারের বিষয়ে আজ শুক্রবার বাংলাদেশ একাত্তর’কে নিশ্চিত করেন পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম।
তিনি বলেন, পল্লবী এলাকায় এরা বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড ও মারামারি করে বেড়ায়। জড়িতরা সবাই দরিদ্র পরিবারের। তারা বস্তিতে থাকে। আশিকের বাবা একজন গাড়ি চালক, তার অন্যতম সহযোগির বাবা ঘটক। এই ঘটনায় গ্রেফতার সবার বাবা-মা দিনমজুর ও শ্রমজীবি। কিন্তু তাদের সন্তানরা পল্লবীতে নানা অপরাধ করে বাড়াচ্ছে। পরিবারের শাসন না থাকায় তারা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
মামলা সূত্রে জান গেছে, গত ৯ মে রাত ৯ ঘটিকার দিকে আহত কিশোর সনু (১৫) ও তার বড় ভাই তারেক (১৯) নিজেদের জুতার দোকন বন্ধ করে বাসায় ফেরার পথে আসলেই আশিকের নেতৃত্বে ১০/ ১২ জন তাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র ও রড নিয়ে হামলা করে। এতে সনু গুরুত্বর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সনুর মাথায় ১৩টি সেলাই লাগে।
পল্লবী থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার আশিকের বিরুদ্ধে ২০২২ সাল থেকে মারমারি ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে পল্লবী থানায় ৪টি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ শুক্রবার সকালে আরও একটি মামলায় গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।