স্টাফ রিপোর্টার; মুন্না
রাজধানীর পল্লবী থানার বাউনিয়াবাদ এলাকায় আলোচিত ও থানার তালিকা ভুক্ত ফতের মাদক স্পটে গুলাগুলিতে এক মহিলা নিহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটে, বুধবার (৩০ অক্টোবর) মিরপুর ১১ বাউনিয়াবাদ বি- ব্লকের লাইনে। যুবলীগ নেতা জুয়েল রানার চাচার বাড়ীর পাশের গলিতে।
নিহতের নাম আয়শা বেগম, (৩০) স্বামী মিরাজ, পেশায় বাস চালক। তাদের দুটি ছোট সন্তান রয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পল্লবী থানা পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেছেন।
মোমিনুল গ্রুপ ও ফতের ভাই মামুন গ্রুপ। এই দু গ্রুপই যুবলীগ নেতা জুয়েল রানার অনুসারী। এরা একই এলাকায় পাশাপাশি ১৭ বছর মাদক বানিজ্য করে আসছে। ফতের মাদক স্পট দখল করে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে মোমিনুল ও তার দলীয় নতুন লোকজন। যে কারনে এ গুলাগুলির ঘটনা।
সুত্র বলছে, ফতে মামুন ও কুত্তা খোকন এরাও কম কিসের। পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া মাদক ব্যবসা তাদের বাবা এক সময় এখানে বাংলা মদ বিক্রি করেছে। এই স্পষ্ট অন্য কেউ মাদক বানিজ্য নিয়ন্ত্রণ করবে অসম্ভব! জীবন থাকতে হতে দিবেনা। ফতে, মামুন ও কুত্তা খোকনের সাথে ওয়ার্ডের কিছু বিএনপির লোকজন জড়িত আছে।
জুয়েল রানার অনুসারীরা সরকার পতনের পর তারা এখন বিএনপিতে যোগ দিতে মরিয়া৷ ঢাকার বিভিন্ন এলাকার খুচরা মাদক ব্যবসায়ীরা ফতের স্পটে এসে পাইকারি মাদক কিনে নিয়ে তারা অন্য এলাকায় খুচরা বিক্রি করে। আনুমানিক দৈনিক কোটি টাকার মাদক কেনাবেনা হয় বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সুত্র বলছে, দু গ্রুপের গুলাগুলিতে গলির পাশের বাসার ভাড়াটিয়া আয়শা নামের এক মহিলা নিহত হন। নিহত আয়শার দুটি সন্তান রয়েছে। নিহতের স্বামী বাস চালক।
স্থানীয়রা বলেন, আগে ফতে গংদের বাবা বাবুল মদ বিক্রি করত: এখন তার ছেলে মেয়েরা ফতে, মামুন ও কুত্তা খোকন ইয়াবা হেরোইন বিক্রি করে। পল্লবীতে “ফতের মাদক স্পট” হিসেবে সারা ঢাকায় পরিচিত। বাউনিয়াবাদে তাদের ৭/৮ টা ৫তলা বাড়ী আছে।
এলাকায় তারা দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মাদক বিক্রি করে আসছে তার আগে তার বাবা বাবুল বাংলা মদ বিক্রি করতেন ৩ টাকা লিটার বোতলে।
যখন এরা দুগ্রুপই যুবলীগ নেতা জুয়েল রানার অনুসারী ছিলো তখন কোনো সংঘর্ষের কথা শোনা যায়নি। সবাইকে ম্যানেজ করেই ব্যবসা করত।
দু গ্রুপের মুল হোতারা বিএনপি ব্যানারে ঠাই নিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রোগ্রামে অংশ নিচ্ছে। এটা দেখে এলাকাবাসী আরও হতবাক।
বাউনিয়াবাদে মাদক ব্যবসায়ীদের মারামারি খুন পল্লবীতে নতুন কিছু নয়। ৫ই আগস্টের পর থেকেই প্রকাশ্যে শুরু হয় মাদক বেচা-কেনা।
রিকশা চালক হুমায়ুন বলেন, ফতের স্পটের সামনে দিয়ে প্রতিদিন থানা পুলিশের টহল গাড়ী যাতায়াত করে কিন্তু পুলিশ সদস্যরা দেখেও না দেখার মত করে চলে যায়। তাদের কিছুই বলেনা।
বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাদক বেচা-কেনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লেও পল্লবী থানার পুলিশের নজরে পড়েনি। স্থানীয়দের দাবি মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে আরও কত শিশু সন্তান তার মা বাবাকে হারাবে তার হিসাব নেই।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, মাদক ব্যবসায়ী দু’পক্ষের গুলা গুলিতে এক মহিলা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তবে আপাতত আর কিছু বলা যাচ্ছেনা। ঘটনার তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত বলা যাবে।