রাজু আহমেদ: রবিবার ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইং
ঢাকা, পল্লবী: বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম শহিদ শীতবস্ত্র বিতরণের সময় স্থানীয়দের রোষানলে পড়েন। তার বিরুদ্ধে জমি দখল, অর্থ আত্মসাৎ, নারী কেলেঙ্কারি ও প্রতারণার মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পল্লবীর ধ-ব্লক এলাকায় কম্বল বিতরণের সময় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। জানা গেছে, শহিদুল ইসলাম নিজেকে কখনো আওয়ামী লীগ নেতা, কখনো শ্রমিক নেতা, আবার কখনো কমরেড হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিলেন।
সম্প্রতি সাংবাদিক মীর আলাউদ্দীন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শহিদুল ইসলামের বিভিন্ন হেভিওয়েট আওয়ামী লীগ নেতা, এমপি ও মন্ত্রীদের সঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট করলে তা ভাইরাল হয়। এরপরই শহিদুলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ নতুন করে সামনে আসে। অনেকে তাকে সন্ত্রাসী বলে অভিহিত করেন এবং ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামি হিসেবেও দায়ী করেন।
স্থানীয় আওয়ামিলীগ ও বিএনপির সমর্থকরা শহিদুল কে ভেজাল নেতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাদের ভাষ্য, শহিদুল কোনো দলের নয়, সে হলো সুবিধা বাদী, যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তাদের সাথে সুসম্পর্ক করে প্রতিবন্ধীদের কথা বলে নিজের স্বার্থ হাসিল করে।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাউনিয়াবাদ এলাকা থেকে যুবলীগ নেতা জুয়েল রানার পক্ষ থেকে প্রচার চালানোর অভিযোগে আরও চারজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, “সবার পূর্বের অপরাধের রেকর্ড যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা জানান, শহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখাতেন। তবে তার অপরাধের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরি হওয়ায় এলাকাবাসী সরাসরি প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।