বাউনিয়াবাধে সরকারী জমি দখল বানিজ্যকে কেন্দ্র করে পশুপাখির খামারে আগুন ও খামারিদের একজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
বাংলাদেশ একাত্তর.কম; নিজেস্ব প্রতিবেদক;
রাজধানীর পল্লবী থানা বাউনিয়াবাধ এলাকার কলাবাগান বস্তি পুকুর পাড় নামক স্থানে পশুপাখির খামারে আগুন ধরিয়ে দেয় একই এলাকার চিহ্নত সন্ত্রাসীরা। প্রতিবাদ করায় খামার মালিকের বন্ধু সুজনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। আগুনে পুড়ে যাওয়ায় প্রায়ই সাড়ে তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয় বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছেন খামার মালিক।
পল্লবী থানায় ঘটনার ওই রাতেই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী খামার মালিক কামাল উদ্দিন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। মামলাটি চলমান প্রকৃয়াধীন।
আসামিরা হলো; ইসমাইল ওরপে কারেন্ট ইসমাইল(৩৩) পিতা-আবু বক্কর। ২ রিপন ওরপে কসাই রিপন(৩৩) পিতা- ইসাহাক। ছাড়াও অঙ্গাত ৭/৮ জন।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, খামার মালিক মিজানের ঘর দখল করতে বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলো তাতে কোনো কাজ না হলে গত (বুধবার) ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ইং তারিখ রাত ৮টার সময় খামারে ঢুকে ইসমাইল রিপন সহ আরো ৭/৮জন হাতে সুইচ গিয়ার চাকু কাঠের বিট নিয়ে খামারে ঢুকে মালিকের বন্ধু সুজনকে এলোপাতাড়ি মারধর করে ও সুইচ গিয়ার দিয়ে পিঠে পার দেয়। সুজনের চিৎকার চেচামেচিতে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় সুজন কে উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা হাসপাতাল পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাশুন্ড মনুষ্যত্বহীন কারেন্ট ইসমাইল কসাই রিপন সহ ৭/৮ মিলে খামারে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে করে খামারের ঘরসহ ৪৫০ টি কবুতর, ১৫০ টি ঘুঘু পাখিসহ বিভিন্ন ফলমূলের গাছ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে ৯৯৯নে কল করে ফায়ারসার্ভিসের সহয়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও তার আগেই পুড়ে সব শেষ।
স্থানীয়রা বলেন, কামাল সুজনসহ আরো তিন-চার জন বন্ধু মিলে তারা এখানে পশুপাখির খামার করে আসছে। রাতদিন বন্ধুরা মিলে খামার পরির্যা করে। এলাকাবাসীও খুশি তাদের পশুপাখি ও বিভিন্ন গাছ পালনে। এই হামলাকারীদের দৃষ্টান্ত মুলুক শাস্তির দাবী জানান তারা।
ভুক্তভোগী বলেন, কলাবাগান বস্তিতে ইসমাইল রাষ্ট্রের সম্পদ বিদ্যুৎ অবৈধ সংযোগ দিয়ে মাসে অর্ধ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সেল্টারে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড ঘটায়। কলাবাগান বস্তিতে কারেন্ট ইসমাঈল নামেই সে পরিচিত। ইসমাইলের ভাই ইব্রাহিম সেও চোরা কারেন্টের ব্যবসা করে এছাড়াও মাদকের সাথে জড়িত। রিপন মুলত কসাই কাসেমের সেল্টারে এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড ঘটায়।
এবিষয়ে পল্লবী থানার এসআই পার্থ মল্লিক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। একপ্রশ্নে তিনি বলেন, মামলা হবে কিনা তা জানা নেই, বাদী যোগাযোগ করেনা।
