বাংলাদেশ একাত্তর.কম / নিজেস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা: রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে ২৭৫ টি মোবাইলসহ চোর ও ছিনতাইকারী চক্রের সাত সদস্যকে আটক করছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)।
আটককৃতরা হলো: মো. আব্দুল জলিল (৩৩), মো. কলিমুল্ল্যা (৩৮), কাওসার আহমেদ তানভীর (৩৫), সোহাগ ঢালী (২০), মো. হৃদয় হোসেন (২০), নিরব হোসেন (২০), ও মো. রনি (৩৩)।
শুক্রবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে র্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক পুলিশ সুপার (এএসপি) জিয়াউর রহমান চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দিনগত রাতে পল্লবী থানার সেকশন-১১, লালমাটিয়া শেখ কামাল স্কুলের সামনে সড়কে র্যাব-৪ এর একটি দল অভিযান চালায়। অভিযানে চোর ও ছিনতাই চক্রের সাত সদস্যকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে চোরাই মোবাইল বিক্রয়ের নগদ ২২ হাজার ৫২০ টাকাসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাত টি পাওয়ার ব্যাংক এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২৭৫ টি চোরাই ও ছিনতাই মোবাইল (১৬২টি স্মার্ট এন্ড্রয়েড ফোন এবং ১১৩ টি ফিচার/বাটন ফোন) উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সড়ক ও ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন দোকানপাট বসিয়ে জাতীয় পার্টির এক কথিত নেতা জাকির হোসেন মোল্লা প্রতি দোকান থেকে দৈনিক ১০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা চাঁদা উঠান প্রশাসনের কথা বলে। কেউ টাকা না দিলে তার দোকান সড়কে করতে পারেনা। দেখা যায়,পল্লবী ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কার্যালয় ও পল্লবী বিট পুলিশিং কার্যালয়ের সামনে থেকে পোড়া বস্তি বটতলা পর্যন্ত অন্যদিকে লালমাটিয়া টেম্পু স্ট্যান্ড থেকে শেখ কামাল স্কুল পর্যন্ত প্রায়ই এক হাজার দোকান থেকে এ চাঁদা তুলা হয়। ফুটপাত ও সড়কের দুই পাশ দখল করে যেসব দোকান বসে তার ভিতর রয়েছে, কাপুর দোকান, জুতা স্যান্ডেলের দোকান, পান-বিড়ির দোকান, চটপটির দোকান, চোরাই মোবাইলের দোকান, শাক-সবজীর দোকান সহ ইত্যাদি। র্যাবের এই অভিযানকে স্বাগতিক জানিয়েছেন স্থানীয়রা, তারা বলেন যে কাজ পল্লবী থানা প্রশাসনের লোকজন করবে সেই কাজ র্যাব করেছে তাই আমরা র্যাবের এ অভিযানের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানাই। তারা আরো বলেন, আমরা ফুটপাত ও সড়কের চাঁদাবাজের বিরুদ্ধেও র্যাব-৪ এর কাছে অভিযোগ জানাবো।
জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, আটক ব্যক্তিরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে মোবাইল চোর ও ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে স্বল্প মূল্যে মোবাইল ফোন ক্রয় করে। পল্লবী এলাকায় এইসব চোরাই ও ছিনতাই করা মোবাইলগুলো বিক্রয়ের চেষ্টা করছিলো।
আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। ভবিষ্যতে এমন অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর সাঁড়াশি অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান এএসপি জিয়াউর।