বাংলাদেশ একাত্তর.কম/ মোঃ রাজু আহমেদ।
রাজধানীর পল্লবীর বাউনিয়াবাধ এলাকার চোরাই মোবাইল মার্কেট উচ্ছেদ করার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ফের বসেছে।
চলতি মাসের ১৩ তারিখ পল্লবী থানার ওসি অপারেশনের নেতৃত্বে বাউনিয়াবাধ লালমাটিয়া এলাকার তিন শতাধিক চোরাই মোবাইল দোকান গুরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্ত রহস্য জনক কারনেই ২৪ ঘন্টা পার না হতেই পুনরায় বসেছে এই চোরাই মার্কেট টি। চোরাই মোবাইল মার্কেট পরিচালনাকারী এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পুলিশকে ম্যানেজ করেই মার্কেট-টি বসানো হয়েছে। আর এতে প্রশ্ন বিদ্ধ হয়েছে ২৪ ঘন্টা আগে করা পুলিশের উচ্ছেদ অভিযান।
সরেজমিন দেখা যায় যে, বাউনিয়াবাধ বটতলা থেকে লালমাটিয়া ও শেখ কামাল স্কুলের সামনে পর্যন্ত। ফুটপাত ও সড়কের দুই পাশ দখল করে প্রায়ই তিন শতাধিক বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট গড়ে উঠেছে। ১২০ ফুট সড়কের ১০০ ফুট দখল করে দোকান বসিয়ে প্রতি দোকান থেকে দৈনিক চাঁদা তুলছে এক জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক নেতা।
ফুটপাত ও সড়কের দোকান গুলোতে পাওয়া যায়, বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল, জুতা স্যান্ডেল, জামা কাপড়, চার্জার এলইডি মনিটর, ফল-মূল ও কাঁচা তরিতরকারি, চটপটি কাবাব, সর্বত সান্ডার তেল সহ ইত্যাদি পাওয়া যায়।
এসকল ফুটপাতের দোকানে অবৈধভাবে ব্যবহার হচ্ছে রাস্ট্রের সম্পদ বিদ্যুৎ, স্থানীয় এক আওয়ামীলীগের নেতা পানির ব্যবসার আড়ালে শেখ কামাল উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ লাইন টেনে চোরাই মোবাইল মার্কেটে সংযোগ দিয়ে প্রতি দোকান থেকে ৩০ টাকা চাঁদা তুলেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, পুলিশের অভিযান ২৪ ঘন্টা না যেতেই আবার সড়ক দখল এ নিয়ে প্রশ্ন তাদের। তারা আরো বলেন, পল্লবী থানার নতুন অপারেশন অফিসার তিনি যেভাবে সড়কের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন আমরা ভেবেছিলাম আর হয় তো সড়ক দখল থাকবেনা কিন্ত ক’ঘন্টা যেতে না যেতেই আবার দখল তারপর থেকে পুলিশের টহলরত গাড়ী যাতায়াত ও করছে চোখের সামনে।
সড়কের এ দোকানিদের সাথে আলাপ কালে জানা যায়, পুলিশের কথা বলে জাতীয় পার্টির এক নেতার নামে প্রতি দোকান থেকে ৮০ থেকে ১২০ টাকা চাঁদা উঠান এক কিশোর। প্রতিদিন প্রায়ই তিন শতাধিক দোকান থেকে এ চাঁদা উঠানো হয়। টাকা দেন কেন? এমন প্রশ্নে দোকানীরা বলেন, টাকা না দিলে কি রাস্তায় ব্যবসা করা যায় পুলিশ এসে তো আবার অভিযান করবে। টাকা দেই যাতে শান্তি মত রাস্তায় দোকান করা যায়।
চাঁদা উঠানোর বিষয়ে জানতে পল্লবী থানা জাতীয় পার্টির নেতা জাকির মোল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মোবাইল মার্কেট চালায় সেলিম নামে এক ব্যক্তি টাকা পয়সা সেই তুলে সব কিছু ম্যানেজ করে। আমি এর সাথে জড়িত নই।
স্থানীয়রা বলেন, সাবেক পল্লবী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার এসি শামীম এর নেতৃত্বে এই চোরাই মোবাইল মার্কেট উচ্ছেদ করা হয়ে ছিলো ৪/৫জনকে আটক করে মামলা ও দিয়েছিলো। এসি শামীম বদলী হওয়ার পর পুনরায় চালু হয়েছে দোকান আরো বেড়েছে দিগুন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লবী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, সড়কে কোনো দোকান বসবেনা। যারা বসাবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো। তিনি আরো বলেন, আমার থানার কেউ যদি এর সাথে জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে ও আমি ব্যবস্থা নিবো।