তানোর (রাজশাহী) প্রতিবেদকঃ
রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ সরকারী খাদ্য গুদামে নানা অনিয়ম জেঁকে বসেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, তানোরের কামারগাঁ ইউপিতে দুটি সরকারী খাদ্যগুদাম রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, অধিকাংশক্ষেত্রে এখানে স্বাভাবিক নিয়মে কোনো কাজ হয় না। কাজে ক্রটি থাক বা নাই থাক পদে পদে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আর্থিক দিতে হয় ব্যতিক্রম হলে নানা হয়রানি পোহাতে হয়। এছাড়াও ডিওলেটার আটকিয়ে টাকা আদায়, রাঁতের আঁধারে ভাল মাণের চাল বের করে নিম্নমাণের চাল গুদামজাত ও বিশেষ কৌশলে বস্তা থেকে চাল বের করে নেয়া সহ অভিযোগের কথা এখন মানুষের মুখে মুখে আলোচনা রয়েছে।
এদিকে এসব অনিয়মের কোনো খবর যেনো প্রকাশ না হয় সেদিক লক্ষ রেখে তিনি একশ্রেণীর নামধারী সাংবাদিকদের ম্যানেজ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেয়ার প্রাইস কর্মসুচির এক ডিলার বলেন, গুদাম কর্মকর্তার নেপথ্যে মদদে সব অনিয়মের নিয়ন্ত্রক শ্রমিক সর্দার। তার মাধ্যমেই এসব অনিয়ম হয়ে থাকে। তিনি বলেন তাকে আর্থিক সুবিধা না দিলে বেছে বেছে নিম্নমাণের চাল গছিয়ে দেয় কেউ প্রতিবাদ করলেই কপালে পড়ে শণির দশা-? কাঁমারগা বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন রেজাউল সাহেব যোগদানের পর এখানে দিনের থেকে রাঁতেই বেশী কাজ হয়। অর্থ ছাড়া যেনো তিনি অবুঝ!
প্রসঙ্গত প্রায় ৬০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য পাঁচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক কামিয়াব আফতাহি উন নবী বাদি হয়ে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (টিসিএফ) (তৎকালীন) আলাউল কবির, কামারগাঁ খাদ্য গুদামের (তৎকালীন) কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) নয়ন কুমার, সহকারী উপ খাদ্য পরিদর্শক আজিজুর রহমান ও নিরাপত্তাকর্মী কুরবান আলীর বিরুদ্ধে।
এসব অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে কামারগাঁ সরকারী খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) রেজাউল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আগে কি হয়েছে সেটা আমার বিষয় নয়। তবে আমার সময়ে অনিয়ম-দুর্নীতির কোনো সুযোগ নাই, কেউ বললে সেটা অপপ্রচার ছাড়া আর কিছু নয়।