গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লার বড় ভাই ফরহাদ মোল্লাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে এক দল সন্ত্রাসীরা। প্রতিবেশীরা ফরহাদ কে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করে তারা। এ ঘটনায় ফরাদসহ আনুমানিক ৩/৪ জন গুরুতর আহত হয়।
আহতদের প্রথমে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফরহাদের অবস্থার পরিবর্তন না হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নেওয়া হয়। ঘটনাটি ১১ই এপ্রিল (বৃহস্পতিবার -রাতে) ২০২৪ইং গোপালগঞ্জের বলাকৈড় গ্রামে ঘটে।
জানাগেছে, গোপালগঞ্জ সদরে বসবাস ও ব্যবসা করেন ফরহাদ। প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের দিন ফরহাদ নিজ গ্রাম বলাকৈড় বাসীদের ঈদ উপহার বিতরণ করে আসেন। পরে ঈদ উপহার বিতরণ শেষে রাতে বলাকৈড় বাজারে চা খাচ্ছিলেন। এসময় হঠাৎ ১৫/২০ জন দেশীয় অস্ত্র রামদা, রড, লাঠি, সোটাসহ নিয়ে ফরহাদের উপর হামলা চালায়। এতে ফরহাদের পিঠ ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রামদায়ের কোপে গুরুতর জখম হয়। ফরাদ ছাড়াও আরো ৩/৪জন আহত হয়। কি কারনে এ হামলার শিকার হলেন তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
তবে গ্রামের অনেকেই বলছেন, ফরহাদের ছোট ভাই নিউটন মোল্লা গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। এবং ফরহাদ বলাকৈড় গ্রামে আাগামীতে চেয়ারম্যান নির্বাচন করবেন। ফরহাদ গ্রামে এসে সবাইকে ঈদ উপহার দেন, কোরবানির সময় এলে গরুর গোস্তো বিলান, বিভিন্ন বিচার-শালিস করে। এতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ফরহাদ মোল্লা। তাই প্রতিপক্ষরা ভয়ে আছে যদি আগামী নির্বাচনে তারা হেরে যায় কিনা। তাই ফরহাদ কে জানে মারার পরিকল্পনা করছিলো বলে ধারণা, আল্লাহ তাকে বাঁচিয়েছে। ফরহাদ সুস্থ হলে কারা ঘটনা ঘটিয়েছে সব জানা যাবে।
ফরহাদের বড় ভাইও লিংকন ছিলেন বলাকৈড় গ্রামে ছোট বড় সবার প্রিয়। এলাকাবাসীর অনুরোধে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার এক মাসের ভিতর রোড এক্সিডেন্টে মারা যান। সবার প্রশ্ন ফরহাদের বড় ভাই ওই দিন কি সত্য কি এক্সিডেন করেছিলেন নাকি তাকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছিলো?