গোগালগন্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ প্রেমানন্দ মন্ডলকে কসাই বলে আখ্যা দেন ভুক্তভোগীরা:
বাংলাদেশ একাত্তর.কম: অনলাইন ডেস্ক!
ঢাকায় সু চিকিৎসা না পাওয়ায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকদের ওপর হামলা করে ভুক্তভোগীরা।, এ ঘটনার প্রতিবাদে গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বহির্বিভাগে সেবা বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি কর্মবিরতি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
অনেকেই বলছেন, সাধারণ মানুষের টাকায় সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার পরিচালকদের বেতন হয়। রাষ্ট্রের মালিক যে জনগণ তাদের চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে নজিরবিহীন অবজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক আওয়ামী পন্থি ডঃ প্রেমানন্দ মন্ডল।
দেখা গেছে দূর দূরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। অনেককে চিকিৎসক দেখাতে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ছুটে চলেছেন।
গনমাধ্যমে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজের বহির্বিভাগ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতলটির পরিচালক প্রেমানন্দ মন্ডল ।
একটি গোপন সুত্র” বলছে, প্রেমানন্দ মন্ডল ক্ষমতাসীন হাসিনার আমলে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যম বহু টেন্ডার পাইয়ে দিছে আওয়ামীগ যুবলীগের নেতাদের। সেই সুযোগে তিনিও হাতিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। দেশের এই পরিস্থিতিতে এখনো আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের নেতাদের টেন্ডার পাইয়ে দিতে বিভিন্ন কুট-কৌশল করে চলেছে। তার এই টেন্ডার বাজি সবার আগে বন্ধ জরুরি।
চিকিৎসা সেবা নিতে আশা ভুক্তভোগীরা বলেন, শেখ ছায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পরিচালক ডাক্তার হতে পারেননা তিনি কসাই। মানুষের সুচিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য সরকার হাসপাতাল তৈরি করেছেন। কোথায় কি ঘটছে সে কারনে তিনি আমাদের চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিছেন। ডাক্তাররা সেবা বন্ধ করার কে? পরিচালক কি ঘাস খায়! এই পরিচালক দেশের যে হাসপাতালের দায়িত্বে থাকবে সেখানে সাধারণ মানুষ সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হবে।
বাগেরহাটের মোল্লাহাট থেকে রোগী নিয়ে আসা মো. আব্দুর রহমান মুন্সী বলেন, ‘আমার চাচা খুব অসুস্থ। তাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। এখানে স্বাস্থ্য সেবা বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকরা। এখন চাচাকে প্রাইভেট (বেসরকারি) ক্লিনিকে চিকিৎসক দেখাতে হবে।’
পিরোজপুরের নাজিরপুরের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাচ্চাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম। এখানে ডাক্তার নেই, তারা কর্মবিরতি ডেকেছেন বলে শুনেছি। এখন বাচ্চাকে ডাক্তার না দেখিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।’
শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক প্রেমানন্দ মন্ডল গণমাধ্যমকে বলেন, বহির্বিভাগ বাদে জুরুরি সেবা ও ভর্তি রোগীদের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ইন্টার্ন চিকিৎসকরা যাতে কাজে ফিরে আসেন সে বিষয়ে আলোচনা চলছে।’’