রবিবার , ১৪ মার্চ ২০২১ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আওয়ামীলীগ
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্য-প্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বি এন পি
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ সংবাদ
  12. রাজধানী
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা

গাজীপুরে ডায়মন্ড লাইফ ইন্সুইরেন্সে চাকরির নামে প্রতারণা: নিঃস্ব হচ্ছেন চাকরি প্রত্যাশীরা

প্রতিবেদক
বাংলাদেশ একাত্তর
মার্চ ১৪, ২০২১ ৬:২৫ অপরাহ্ণ

গাজীপুর প্রতিনিধি গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন সফিপুরে ডায়মন্ড লাইফ ইন্সুইরেন্সের জোনাল অফিসের কর্মরত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। তারা হলেন রুহুল আমিন এবং জহির। তাদের মাধ্যমে প্রতারিত হচ্ছে গ্রামের সহজসরল শতশত সাধারণ মানুষ। প্রতারক চক্রের কবল থেকে রক্ষা পেতে আকুতি জানিয়েছেন অনেকে। তথ্য অনুসন্ধানে উঠে আসে রুহুল আমিন এবং জহির প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়েছেন। এ চক্রটি টার্গেট করে গ্রামের সহজ সরল শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের। তাদের মোটা অংকের বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এ চক্রটি প্রতি মাসে প্রতারণার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চাকরির দেওয়ার নাম করে শু-কৌশলে সাধারণত মানুষের কাছ থেকে। জামানত দিয়েও কাঙ্ক্ষিত চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন তারা।

ভুক্তভোগীরা ভাবছেন গ্রামে গিয়ে এই মুখ কি ভাবে অসহায় পরিবারের সামনে দেখাবে। জানাগেছে চাকরির আকর্ষনীয় সুযোগ সুবিধার কথা বলে চাকরির আগেই প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিচ্ছেন এ টাকা। আকর্ষণীয় অফারের মধ্যে রয়েছে তিন বছর চাকরি করার পরে তিন লক্ষ টাকা বোনাস। প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ১২/১৫- হাজার টাকা বেতন রয়েছে ফ্রি থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা। এই চাকরি পেতে হলে প্রথমে শুধু মাত্র ৫৫০ টাকা দিয়ে একটি ফরম পূরণ করতে হবে। তথ্য রয়েছে যারা এই ফরম পুরন করেন তারাই ফাঁদে পড়তে শুরু করে। ফরম পুরনের পরই প্রতারকদের শুরু হয় বিভিন্ন খাদে টাকা দাবী। যেমন ট্রেনিং করানোর জন্য (১২০০০ হাজার টাকা) ৭দিন থাকা ও খাওয়ার খরচ বাবদ।

অনেকে ভাবে যেহেতু ৫৫৫০ হাজার টাকা দিয়েছি তাহলে বাকি টাকা মেনেজ করে দিলে যদি একটা চাকরি হয় এই আশায় বাকি টাকা মেনেজ করে দিলেও মিলছেনা চাকরি নামের সোনার হরিণ। একাধিক চাকরি প্রত্যাশী ভুক্তভোগীরা জানান, অনেক কষ্ট করে টাকা জোগাড় করে দিয়েছি একটা চাকরি পাওয়ার আশায়। ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ মায়ের গহনা বিক্রি করেছে, কেউবা সুদে এনে দিয়েছে, কেউবা পালিত গরু ছাগল বিক্রি করে টাকা দিয়েছে। শুধু মাত্র একটা চাকরির পাওয়ার আশায়। তারা গ্রাম থেকে বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসে ফিরে যেতে হচ্ছে জন প্রতি প্রতারকদের কাছে ৫৫৫০/২১০০০হাজার টাকা রেখে এক বুক কষ্ট নিয়ে। এভাবেই সাধারণ মানুষের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে। আর হারাতে হচ্ছে নগদ অর্থ।

ভুক্তুভোগী মোঃ রাসেল ও মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, প্রতারণায় পড়ে সব আমাদের শেষ! এখন টাকা ও খোয়ালাম! চাকরি ও পেলাম না। এখন বাড়ী যাবো কোন মুখ নিয়ে। দুই দিন যাবত টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় থাকতে থাকতে আরো যা ছিলো তাও শেষ। এখন টাকা চাইলে তারা মারতে আসে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়। অফিসে গিয়ে অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতারক চক্রের মূল খল-নায়ক রুহুল আমিন এবং জহির। রুহুল আমিন ও জহির দু’জনে মিলে এসব প্রতারণা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে। যদি কোন ভুক্তভোগী টাকা ফেরত চায়, তাহলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেয় এবং চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে পুলিশে দেওয়ারও হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। অনেকেই ভয়ে আর টাকা ফেরত না নিয়ে চলে যান।

এ বিষয়ে জানতে রুহুল আমিন এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আসলে এটা কোন চাকরি “না” এটা হলো কমিশন ভিত্তিক কাজ” এখানে যে যত বেশি কাজ করবে তার ততই বেশী বেতন হবে। অন্যদিকে মোঃ জহির বলেন, আমরা ফরম পূরনের জন্য কোন টাকা নেই না। ৫৫০ টাকা হলো অফিস ফি।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনার যা ইচ্ছে হয় লিখেন। আমার কোন সমস্যা নেই, আমরা আমাদের কাজ করছি, এখানে আপনাদের কথা বলার দরকার নাই।

সর্বশেষ - সর্বশেষ সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত