এ বিষয়ে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযােগ করেছেন ভুক্তভোগী সেই সাংবাদিক।
অভিযােগ সূত্রে জানা গেছে, কপােতাক্ষ নদ সংলগ্ন কেশবপুর থানাধীন মেহেরপুর বিলের মধ্য হতে স্থানীয় ভুমিদস্যু রাশেদুলের নেতৃতে। একটি সিন্ডিকেট অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে কৃষি জমির মাটি কেটে ভারী যান বহনে অন্যাত্র বিক্রি করছে। এই ধরনের একটি সংবাদ পেয়ে চ্যানেল এস এর কেশবপুর প্রতিনিধি আক্তার হােসেন, জবস টিভির কেশবপুর প্রতিনিধি আব্দুল করিম ও দৈনিক আমাদের সময়ের কেশবপুর প্রতিনিধি
এম.এ রহমান। বুধবার সকালে (১০ মার্চ-২১) সংবাদ সংগ্রহে ঘটনাস্থলে যায় এবং মাটি কাঁটার স্থান ও মাটি বহনকরা ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তার ভিডিও ধারন করে ছবি তুলতে থাকে। এসময় স্থানীয় ভুমিদস্যু ও মাটি ব্যবসায়ী কেশবপুর উপজেলার মেহেরপুর গ্রামের উজির আলী গাজীর ছেলে দুর্ধর্ষ মাটি খেকো আব্দুর রশিদসহ কতিপয় সন্ত্রাসী ভিডিও ধারন ও ছবি তুলতে বাঁধাগ্রস্থসহ সাংবাদিকদের অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করে তারা। এসময় কর্মরত সাংবাদিকরা তাদের হুমকীর মুখে উক্ত স্থান ত্যাগ করে পাশ্ববর্তি গােবিন্দপুর হাইস্কুল মােড়ে অবস্থান নেয়। সাংবাদিকদের অবস্থান টের পেয়ে অবৈধ মাটি ক্রয়-বিক্রয় সিন্ডিকেটের মুল হোতা মাটি খেকো আব্দুর রশীদের
নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী গােবিন্দপুর হাইস্কুল মােড়ে সাংবাদিকদের অবরুদ্ধ করে রাস্তা ও মাটি কাঁটার ভিডিও ধারনের তথ্য প্রমান সম্বলিত ডি.এস.এল আর ৭০০ ডি মডেলের চ্যানেল এস এর ক্যামেরা ও মাইক্রোফন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এর আগে সিন্ডিকেটের প্রধান মাটি খেকো রশীদ হুমকী দিয়ে বলেন, যদি কোন চ্যানেল বা পত্রিকায় এই সংবাদ প্রকাশ হয়
তাহলে সেই সাংবাদিককে জানে মেরে ফেলা হবে। এমন হুমকি স্বরুপ একটি ভিডিও রেকর্ড ইতিমধ্যে নেট দুনিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
আমরা একটু মাটি খেকো রশিদের ভিডিও রেকর্ড শুনিঃ রশদি বলছে-বেশি ঝামেলা করলে ঝামেলায় পড়বেন। রাস্তার ছবি কেন তুলতেছেন? এই সংবাদ কি আমার বিরুদ্ধে করবেন? সাংবাদিকরা বলেন না। মাটি খেকো রশিদ রেগে গিয়ে বললেন তাহলে কেন ছবি তুলছেন? এগুলো দেখার জন্যি মেম্বার চেয়ারম্যান আছে। সরকার কি আপনারে এই “বাল” দেখার জন্য” এইডা করতে পাঠাইছে। এর জন্য মেম্বার চেয়ারম্যান আছে। আমি কি এমনে এমনে এই ব্যবসায় করি। যদি আমার বিরুদ্ধে সংবাদ হয় তাহলে বুঝামু আমি কি কেডা।
এঘটনায় চ্যানেল এস এর কেশবপুর প্রতিনিধি উপজেলার কাস্তা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে আক্তার হােসেন বাদী হয়ে ঐদিন বিকেলে মাটি খেকো-ভুমি দস্যু-ছিনতাইকারী-আব্দুর রশীদের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরাে ৯/১০জনের বিরুদ্ধে। এঘটনায় কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মােঃ জসিম বলেন, ঘটনা শুনেছি এবং অভিযােগ পেয়েছি। ক্যামেরা ও হেডফোনসহ অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।