প্রতিবেদকঃ সুমন গুরকু/প্রকাশিত/২৮/০৩/২০২১ইং/ রবিবার:
সুন্দরীদের রূপ লাবণ্যে মুগ্ধ সবাই, তবে বিপত্তি ঘটে তখনই, যখন কেউ কোনও ভয়ঙ্কর সুন্দরীর ফাঁদে পড়ে যান! অসাধু সুন্দরীদের চেহারায় থাকে আভিজাত্যের ছাপ। একাধিক বিয়ে করার পরও নিজেকে কুমারী পরিচয় দেওয়া অন্তরার অপকর্ম ফাস হতে চলছে। মিরপুর-১, আহমেদ নগরে অন্তরা সুন্দরীর ফাঁদে পা দিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন বহু পুরুষ। তবুও কখনো কখনো একতরফা দোষ ভুক্তভোগী পুরুষের ঘাড়েই চেপে বসে। তবে সম্প্রতি কতিপয় খারাপ চরিত্রের সুন্দরীদের অপরাধের বিষয়ে মাথা ঘামাতে শুরু করেছে আইন প্রয়োগকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
সুন্দরীরা বিয়ের নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ থেকে কোটি টাকা। অভিযোগ রয়েছে রূপ-যৌবন কে পুজি করে অর্থবিত্ত ও সহজসরল মানুষকে রূপের বেড়া জালে আটকিয়ে বিয়ে করেই কাবিনের টাকা দাবী করে যশোর বাহাদুরপুরের স্থায়ী বাসিন্দা ও মিরপুর আহম্মেদ নগর এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা লিটন চৌধুরীর মেয়ে অন্তরা চৌধুরী।
জানা গেছে ২০১৪ সালে বিয়ের পর ২১ সাল পর্যন্ত চারটির বিয়ের কাবিননামার কাগজ এই প্রতিবেদকের কাছে আসে। অন্তরা পরিবারের কথামতই বিয়েকে বানিজ্য হিসেবেই দেখছেন বলে এলাকাবাসীর ধারনা।
প্রথম স্বামী নুরুল হুদা, দিতৃয় স্বামী শাহেদ, তৃতীয় স্বামী শাকিল ও চতুর্থ স্বামী জিল্লুর রহমান জিকো মালোশিয়া প্রবাসী। অনুসন্ধানে জানা যায় অন্তরা বিয়ে না করেও সংসার করেছেন রেজা নামের এক যুবকের সাথে।
তৃতীয় স্বামী শাকিল কে ডিভোর্স না দিয়েই অন্তরা চৌধুরী গোপনে বিয়ে করেন মালোশিয়া প্রবাসী জিল্লুল রহমান জিকো-পিতা: আব্দুর মতলেব মোল্লা-মাতা আনোয়ারা বেগম, সাং-বিজয় নগর-পোস্ট: খোজারহার্ট-যশোর।
প্রত্যেক কাবিননামায় কুমারী উল্লেখ রয়েছে। ইসলাম ও বাংলাদেশ আইনের বিধান রয়েছে কোনো বিবাহিত নারী দিতৃয় বিয়ে করার ইচ্ছা পোষণ করলে অবশ্যই আগের স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার তিন মাস ১০ দিন পর অনত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন। অন্যথায় সেই বিয়ে অবৈধ বলে প্রচলিত রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে অন্তরা সাহেদ নামের এক যুবকের নিকট থেকে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা প্রতারণা করে নিয়ে ঢাকা থেকে যশোরে আকাশ পথে চলে যায়। আরো জানা যায় পরে মালয়েশিয়া প্রবাসী জিকু নামে আরেকটি যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায় অন্তরার চৌধুরী বহু অর্থশালী ব্যক্তিকে পথে নামিয়েছেন। তার রুপের ঝলকানির জালে ফেঁসে অনেকেই এখন পথে বসেছেন। সরকারি কর্মকর্তা ,ব্যাবসায়ী , বিদেশি প্রবাসী অর্থবান লোকদের টার্গেট করে ফাঁদে ফেলে বিয়ের নামে করছে এ বানিজ্য।
স্বামী থাকা অবস্থায় বিয়ে করার বিষয়ে জানতে অন্তরা চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মোবাইল সংযোগ বিছিন্ন করেন এবং বার বার কল দিলেও তিনি ওপাশ থেকে ফোনকল রিসিভ করেননি।
অভিযোগ অস্বীকার করে অন্তরার বাবা লিটন চৌধুরী বলেন, আমি জীবনে কোনোদিন মিথ্যা কথা বলিনি। এ সব অভিযোগ মিথ্যা” ৯০দিন পার হয়ে গেছে। তবুও আমার মেয়ে এখনো বিয়ে করেনি। এক প্রশ্নে লিটন চৌধুরী বলেন আমি মিরপুর-১ নম্বরে স্বর্ণের কাজ করি। আমার মেয়ে এতবেশী বিয়ে করেনি। হয়-তো দুই তিনটা বিয়ে হাতে পারে।
তবে অন্তরার বর্তমান প্রবাসী স্বামী জিল্লুর রহমান জিকোর বড়বোন বলেন জিকো ও অন্তরা বিয়ে করেছে তাতে আপনাদের কি? আমাদের দুপক্ষের পছন্দ মতই বিয়ে হইছে। আমরা সব কিছুই জানি আগের স্বামীরে ডিভোর্স না দিলেও কোনো সমস্যা নেই। একপ্রশ্নে তিনি আরো বলেন কিসের নিয়ম কানুন, আমার ভাইয়ের পছন্দ হইছে বিয়ে করছে তাতে আপনাদের কি। এতদিন কেন বউয়ের খোজখবর নেয়নি। এখন বিয়ে হইছে আর আপনারা ফোন দেওয়া শুরু করছেন আমাদের আর ফোন দিবেননা।
২৭/০৩/২০২১ সন্ধ্যায় মালোশিয়া প্রবাসী জিল্লুল রহমান জিকো পরিচয়ে এই প্রতিবেদক কে বলেন আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি আর ভালোবাসা কোনো অন্যায় নয়” আমি অন্তরার বিষয়ে সব কিছুই জানি”তবে আমাদের বিয়ে এখনো হয়নি আমি দেশে আসলে বিয়ে হবে। তিনি আরো বলেন অন্তরা সেই স্বামীর কাছে যদি সব কিছু পেত তাহলে তো আর আমার কাছে আসতোনা-আপনারা শুধু শুধু ফোন করেন।
এলাকাবাসীরা বলেন যেমন মা’বাবা তেমন তাদের মেয়ে। ৪ থেকে ৫ টা বিয়ে হয়েছে যতদুর জানি। অবাদ লোকের যাতায়াত আছে তাদের বাসায়। অন্তরা স্বামীর সংসার করতে না পারার একমাত্র কারণ তার বাবা মার অনেক টাকার লোভ। তাই মেয়েকে দিয়ে এই জঘন্য কাজ করায়।