নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ
আমি কোনো হাইব্রিড নই, যারা এখন দলের নাম করে অপকর্ম করে তাদের বায়োডাটা কি? তাদের বংশ পরিচয় কি? খুজে পাওয়া যাবেনা। আক্ষেপ করে বলছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা হাজ্বী আমান উল্লাহ।
তৎকালীন বৃহত্তর মিরপুরে সত্তরের নির্বাচনে বাবার হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছি। সত্তরের নির্বাচন দেখেছি। আমার বাবা হাজী শামসুল হক ছিলেন এই এললাকার আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি।
পঁচাত্তরের দিকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের হাল ধরে রাখার মানুষ ছিলেন হাতে গোনা। এ অবস্থা ছিল মাঠ পর্যায়েও। ক্ষমতায় থাকাকালে সুযোগ সন্ধানীদের অনেকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। রাজপথ তৎকালীন সরকারি দলের আয়ত্তে চলে যায়। তারপরও সে সময়ে মাঠের সাহসী সৈনিকেরা কিন্তু হাল ছাড়েননি। বঙ্গবন্ধুর রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেননি।
তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন কামাল মাস্টার সহ অনেকেই। তখনকার সময়ে আমার বাবা ছিলেন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী শামসুল হক। বাবার পথ দেখানো পথেই হাটেন হাজী আমান। আশ্চর্য হলেও সত্য, ১৯৯৬ সালে দল ক্ষমতায় এলেও দুর্দিনের কান্ডারি হাজী শামসুল হককে মূল্যায়ন করা হয়নি। ২০১১ সালে হাজী শামসুল হক ( আমান উল্লাহ’র বাবা) মারা যান। বাবার দায়ীত্ব কাধে নিয়ে হাজী আমান উল্লাহ এলাকার মসজিদ মাদ্রাসা এতিমখানাসহ বিভিন্ন সামাজিক একাধিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থেকে কাজ করে চলেছেন। করোনা দুর্যোগ প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি ১৬ আসনের এমপি আলহাজ্ব ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সাথে থেকে সাধ্যেতম মানুষের কল্যানে কাজ করে চলেছেন। করোনা রোগিদের সেবা নিশ্চিত করেছেন।
আমান উল্লাহ বলেন, বর্তমান দলের ভিতর কিছু হাইব্রিড নেতা পদবি ছাড়াই আবির্ভাব ঘটেছে। অল্প কিছু দিন হলো রাজনীতিতে যোগ অন্যতম নেতা বনে গেছেন! কর্মী নেই বললেই চলে। মাসে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছে অবৈধ ভাবে। দুর্দিনের সিনিয়র সৎ আওয়ামীলীগ নেতাদের দিকে লাল চোখ করে তাকায়। ১৯৭০ সালে আমার বয়স ১০, তখন থেকে বাবার সাথে আওয়ামীলীগের মিছিল মিটিংয়ে অংশ গ্রহন করে বিরোধী পক্ষের লোকজনের হাতে বাবা ও আমি অনেক লাঠিপেটাও খেয়েছি। ২০০৩ সালে আমাকে পল্লবী থানা, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ইউনিটের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক করা হয়। পরে ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি। রানিং দলীয় কার্যক্রম করছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি ১০ বয়স থেকে এখন আমার বয়স ষাটোর্ধ। বয়সের ভার কাঁধে চেপে বসেছে! কদিন আর আল্লায় দুনিয়ায় রাখে! আফসোস লাগে দলের জন্য ” বর্তমানে দেখি অল্প কিছু দিন হলো দলে প্রবেশ করেই দখলবাজী, চাঁদাবাজি করে আজ তারা কোটি কোটি টাকার মালিক। দলের ভিতর শুদ্ধি অভিযান করে প্রকৃতপক্ষের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের মুল্যায় করতে হবে তা না হলে জনগণের কাছে আমাদের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে।
এরা কোন হাইব্রিড নেতার নির্দেশে রাস্তায় মানুষ মারছে, সরকারের সম্পত্তি বিদ্যুৎ চুরি করছে। কোন অপশক্তি সিন্ডিকেটের নির্দেশে নিরীহ মানুষের ঘরবাড়ী লুটপাট করছে। মরন নেশা মাদকের বানিজ্য করে যাচ্ছে। ধ্বংশ হচ্ছে যুবসমাজ। দলের শুদ্ধি অভিযান ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবীও জানান আওয়ামীলীগ নেতা হাজী আমান উল্লাহ।