বাংলাদেশ একাত্তর.কম/ নিজেস্ব প্রতিবেদক:
আইনি সেবা প্রত্যাশীদের ভরসা স্থান থানা। কিন্তু থানা মানেই ভুক্তভোগীদের হয়রানি ও টাকা আদায়ের কারখানা। টাকা ছাড়া থানায় কোন কাজ হয়না জনসাধারণের এমন ধারণা পাল্টে দিয়েছেন পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী।
থানায় আসা বিভিন্ন আইনি সেবা প্রত্যাশীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তিনি থানায় যোগদানের পর থেকে থানায় সেবা নিতে আসা লোকজন সহজেই টাকা ছাড়াই নির্বিঘ্নে সাধারণ ডাইরি, জিডি,অভিযোগ ও মামলা লেখা বা অন্তর্ভুক্ত করতে পারছেন। পল্লবী থানা আইনী সেবা কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। আইনী সেবা জনসাধারণের মনের আঙ্গিনায় পৌঁছে দিতে আন্তরিকতায় অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করে চলেছেন। কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য দিন- রাত কাজ করে যাচ্ছেন। ন্যায়ের পক্ষে বন্ধু সুলভ আচরণে কাজী ওয়াজেদ আলী ইতিমধ্যে সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।
আরো জানা গেছে, দালাল, সোর্স ধরে এখন আর কাউকে থানায় আসতে হয়না, টাকা দিতে হয়না আইনী সেবা নিতে আসা জনসাধারণকে। সেবা প্রত্যাশীদের ন্যায়ের পক্ষে সহযোগিতা করার জন্য থানার সকল অফিসার – ষ্টাফদের নির্দেশ দিয়েছেন ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী। এছাড়াও ওসি নিজেই থানায় আসা ভুক্তভোগীদের পুলিশী আইনী সেবা এবং বিভিন্ন পরামর্শ দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। কোন দালাল বা পুলিশ সদস্যদেরকে কোন রকম টাকা পয়সা না দিতে বারংবার ভুক্তভোগীদের সতর্ক করে যাচ্ছেন তিনি।
কাজী ওয়াজেদ আলীর জন্মস্থান খুলনা জেলায়। পড়াশোনা করেছেন, শহিদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ রাজশাহী। রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
কর্মজীবনে কাজী ওয়াজেদ আলী ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত অবস্থায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন থানায় বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে পুরষ্কৃত হয়েছেন। কাজী ওয়াজেদ আলী বাড্ডা থানা, ভাটারা থানা, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী থানা, সূত্রাপুরসহ বেশ কয়েকটি থানায় সুনামের সাথে কাজ করেছেন। সর্বশেষ গত ৯ আগস্ট সূত্রাপুর থেকে তাকে পল্লবী থানায় রদবদল করা হয়।
পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের একজন সদস্য হিসাবে আমি যেটা প্রত্যাশা করি সেটা হল পুলিশের সাথে জনগণের দূরত্ব কমানো। সাধারণ জনগন সরকারী অফিস গুলোতে যেতে এখন ভয় পায়। ওকিঝুঁকি দেয় প্রবেশ করবে কি করবেনা। জুতা খুলে নাকি জুতা পরে, এটা কাম্য নয়। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন হয়। সকলের উচিত কোন প্রকার বিনিময় ছাড়া সেবার মান নিশ্চত করা।
তিনি আরো বলেন, পল্লবী থানা এলাকায় সাধারণ মানুষ যেন শুধু পুলিশ বিভাগেই নয় সব সংস্থাতেই বিনিময় ব্যাতিত তাদের কাজ হয় সেই আলোকেই কাজ করে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদক, বাল্য বিবাহ, দূর্নীতিতে জিরো টলারেন্স গ্রহন করেছেন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ইচ্ছা বাস্তবায়নে সম্মানিত (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম (বিপিএম বার) স্যারের দিক নির্দেশনায়। আমার ছোট অবস্থান থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। যাতে সব দিক থেকে জনগণ যেন পুলিশকে বন্ধু ভাবতে পারে আশ্রয়ের জায়গা মনে করতে পারে। পল্লবী বাসির উদ্দেশ্যে (ওসি) আরো বলেন, আইনি সেবা জনগনের নাগরিক অধিকার। বাংলাদেশ পুলিশ সার্বিক সেবা প্রদানে বদ্ধ পরিকর। দালাল চক্রের ফাঁদে পড়বেন না আইনি সেবা সকলের নাগরিক অধিকার। কেউ কোন দালাল চক্রের দ্বারা প্রতারিত হলে বা কোন পুলিশ সদস্য কাজের বিনিময়ে অর্থদাবি করলে সরাসরি আমাকে অবহিত করুন।