শাহজাহান ভূইয়া রাজু ও তার কথিত পার্টনার ইভান এবং মাসুদ প্রতি বছর অনুষ্ঠানের আড়ালে কথিত মডেল শিল্পীদের দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান ও নারী এবং মাদক ব্যবসা করে দেশের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাকি দিয়ে দেশী-বিদেশী শিল্পীদের নামে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও বিজনেজ অ্যাওয়ার্ড সহ বিভিন্ন মেলার নামে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছে। এগুলো বন্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়েছেন রাজুর প্রতারণার শিকার এক নারী।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত অভিযোগে বলা হয়, শাহজাহান ভূইয়া রাজু, তার কথিত পার্টনার মাসুদ এবং রাজুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ওপার্টনার ইভান শাহরিয়ার সোহাগ, এরা মিলে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মেয়েদের মডেল বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে ফটোসুটের নামে ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন অনৈতিক কাজে বাধ্য করে এবং ঐসমস্ত মেয়েদের অবৈধ অস্ত্র, স্বর্ণ ও মাদক ব্যবসার কাজে ব্যবহার করে এবং এদেরকে ভোগের পণ্য বানিয়ে ব্যবসা করে। এ কারনে মিডিয়া জগতের অনেকের কাছে মেয়ে দিয়ে অবৈধ ব্যবসা, মানব পাচার, ও অর্থ পাচারে জড়িত শাজাহান ভুইয়া রাজু ও নৃত্যশিল্পী ইভান এবং মাসুদ, এদের এসমস্ত অপকর্মের বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট।। নারী লিপ্সু ও সাপ্লাইয়ার রাজুর আপাদমস্তক জালিয়াতি ও প্রতারণার কথা জানতে পেরে তন্নি নামে তার স্ত্রী তাকে তালাক দিতে বাধ্য হয়েছে । যার অনুসন্ধান করলে আরো ভয়ঙ্কর তথ্য পাওয়া যাবে। রাজুর এসমস্ত জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ ধানমন্ডি থানা সহ দেশের বিভিন্ন থানায় এবং প্রশাসনে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে এছাড়া ইভান শাহরিয়ার সোহাগ নৃত্যশিল্পীর আড়ালে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে নারী- মানব ও মাদক সহ অর্থ পাচার করে দুবাই, ভারত, ও মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডে হোটেল ব্যবসার অন্তরালে অবৈধ কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে, এজন্য সম্প্রতি ইভানকে সিআইডি পুলিশ গ্রেপতার করেছিলো কিন্তু রহস্যজনক ভাবে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের লোক যার নামের প্রথম অক্ষরে আছে এস এস নামের ঐ নেতার আর্শিবাদে ইভান জামিন পেয়ে যায়, অপরদিকে মাসুদ, এটিএন এ চাকরী করত, যার অসংখ্য অনৈতিক বর্ণিত ব্যবসার অপরাধে এটিএন মিউজিক কর্তৃপক্ষ তাকে বের করে দেয়। মাসুদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় ত্রিশটির অধিক অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেও ভন্ড মাসুদ, ইভান, রাজু বাটপারদের কিছু হচ্ছে না বলেই সমাজের ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী করছে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানা যায়, রাজু গংরা কিছুদিন আগে ওয়েস্টার্ন হোটেলে মিরর ফ্যাশন ও বিজনেজ এ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান করেছে এবং এখন আবার হোটেল শেরাটনে ভারতীয় শিল্পী শীল্পাশেটিকে এনে দেশী বিদেশীদের নিয়ে বিজনেজ এ্যাওয়ার্ড ও ফ্যাশন শো করবে ইভান, মাসুদ ও রাজু এই চক্ররা ! যাদের মিরর নামের পত্রিকার ডিকলারেশন নাই ! তারা কিভাবে মিরর ফ্যাশন বিজনেজ ম্যাগাজিনের ব্যানারে অনুষ্ঠান করে !! এদের প্রতিষ্ঠানের সঠিক কোনো অস্তিত্ব নাই। বরং মিথ্যা ও জালিয়াতী করে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে অস্ংখ্য মানুষের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নানা ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে। তার এসমস্ত অপকর্মের জন্য কিছু অসৎ ও কালোটাকার মানুষকে ব্যবহার করেছে। এই ভন্ড রাজু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনবরত লংঘন করছে, এছাড়া ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে জালিয়াতি ও গুরুতর অপরাধমূলক ব্যবসা করে যাচ্ছে। এটা কি দেখার কেউ নেই? এখানে রাজুর আরো কিছু অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রতারণার ফিরিস্তি তুলে ধরা হলো ।
১। এই রাজুর মিরর পত্রিকা বা অন্য কোনো পত্রিকা চালানোর সরকারের অনুমতি (ডিক্লারেশন) নেই তারপরেও সে কিভাবে পত্রিকা চালায় এবং ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে অনুষ্ঠান সাজিয়ে আইন শৃঙ্খলার চোখে ধুলো দিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাকি দিয়ে একটার পর একটা বাটপারি করে যাচ্ছে !!
২। এই রাজু সাপ্তাহিক ফিন্যানশিয়াল মিরর পত্রিকার কো-পাবলিশার্স ছিল । সেটা ঢাকা ডিসি অফিসে গিয়ে সে এবং অপর কো-পাবলিশার্স ও সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর আলম পত্রিকাটি সারেন্ডার করেছে । এবং যথা রীতি সাংবাদিক মশি শ্রাবনের নিকট বিক্রি সহ হস্তান্তর সম্পাদন করেছে ।
৩। এই রাজুর নিজেস্ব কোনো বৈধ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নেই, যেগুলো সে উপস্থাপন করে সেগুলি সবই দুনম্বর করে সাজানো, অনুসন্ধানে সত্যতা মিলবে, দীর্ঘদিন ধরে সরকারের চোখ ফাকি দিয়ে অবৈধ ব্যবসা করে আসছে।
৪। এই রাজু মিডিয়া ব্যাবসার আড়ালে সরকার বিরোধী বিভিন্ন অপকর্ম ও অপশক্তির সাথে সম্পৃক্ত থেকে রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত রয়েছে, তাঁর স্থায়ী ঠিকানাঃ নোয়াখালী জেলায় হলেও তথ্য গোপন রেখে ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা সেজেছে, এছাড়া দিল্লি ও কোলকাতাতে রয়েছে তার কথিত ব্যবসার আড়ালে অবৈধ কারবার ।
৬। এই রাজু মিডিয়া ব্যবসার আড়ালে নারী, স্বর্ণ, মাদক ব্যবসা ও পাচারের সাথে জড়িত থেকে ধানমন্ডি, বনানী, মিরপুর,নিকেতন, উত্তরা, মুহাম্মদপুর ও লালমাটিয়াতে অফিস / বাসা / বাড়ী ভাড়া নিয়ে মাদক ও নারী ব্যবসা করছে।
৭। এই রাজু ভূয়া কোম্পানী সহ অনেকগুলো ব্যাংকে একাউন্ট খুলে বিভিন্ন স্বাক্ষরে পরিচালনা করে থাকে এবং এদেশে কিছু অবৈধভাবে বসবাসরত বিদেশীদের সাথে যোগসাজশে জাল ডলার ও ভারতীয় রূপী সহ কার্ড জালিয়াতি ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে । এ বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্তের সাথে তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে আনলে অসংখ্য মানুষ সাক্ষ্য প্রমাণ নিয়ে হাজির হবে । এখন তার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না।
৮। এই রাজু ২০১৩ সালে একবার বিদেশী শিল্পী গোলাম আলীকে আনার নামে প্রতারণা করে এবং ২০১৪ সালে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে পাকিস্তানী শিল্পী রাহাত ফাতে আলী খানকে এনে অনুষ্ঠান করার নামে প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়েছিল কিন্তু শিল্পী না আসায় তখন তার বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা হয়, যা এখনো চলমান এবং ২০১৯ সালে বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে দেশী-বিদেশী জুয়েলারী মেলার নামে বেশ কয়েকটি কোম্পানি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়, তখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের হস্তক্ষেপে কোনো প্রোগ্রাম করতে পারে নাই, এখন আবার ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সীকে গেস্ট করে ভারতীয় শিল্পা শেটীকে আনার নামে ভন্ড শাহজাহান ভূইয়া রাজু, চান্দাবাজি ও ধান্দাবাজি শুরু করেছে ।
৯। গত ২৮-৩০ শে নভেম্বর ২০২১ইং তারিখে রাজু গুলশান ওয়েস্টিন হোটেলে মিরর লাইভ স্টাইল ফ্যাশন ম্যাগাজিনের ব্যানারে সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হোসেন ও এম পি সালাম মুর্শেদীকে অনুষ্ঠানের অতিথি বানিয়ে পেশী শক্তি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জালিয়াতি করে আদালতকে কাজে লাগিয়ে অনুষ্ঠান করেছে।
১০। এই দুর্নীতিবাজ রাজুর কথিত মিরর গ্রুপ কোম্পানির সঠিক কোনো কাগজ পত্র নাই এবং পত্রিকা চালানোর কোনো অনুমতি পত্র নাই, ট্যাক্স ফাইল নাই, এর পরেও কিভাবে সরকারের রাজস্ব ফাকি দিয়ে ভুয়া কিছু কাগজ বানিয়ে একটার পর একটা অনুষ্ঠান করে যাচ্ছে !
এখন আবার একই কায়দায় অন্যায় ভাবে মিরর ফ্যাশন এন্ড বিজনেস এ্যাওয়ার্ড নামে আগামী ২৮-৩০ শে জুলাই ২০২২ ইং তারিখ হোটেল শেরাটনে বাণিজ্য মন্ত্রী সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও বিদেশী শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠানের নামে প্রতারণা ফাঁদ পেতেছে এই রাজু ও ইভান !! যার কোন পত্রিকা এবং ব্যবসার বৈধ লাইসেন্স নাই সে কিভাবে একটার পর একটা জালিয়াতি ও প্রতারণা করে রাজস্ব ফাকি দিয়ে জনগনকে ধোকা দিয়ে সরকারকে বোকা বানিয়ে তাদের অপকর্মগুলো অনুষ্ঠানের নামে চালিয়ে যাচ্ছে! সেটাই এখন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জিজ্ঞাসা? ইতি মধ্যে রাজুর বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দেওয়ায় বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হয়েছে।
এই বাটপার রাজু, মিরর পত্রিকা ও বিলবোর্ড ব্যবসার পার্টনার বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে গত ২৫/০১/২০১৪ইং তারিখে, কাকলী পারভীনের স্বামীর পেনশন ও এককালিন পাওয়া টাকা থেকে রাজু ১০ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে যার প্রেক্ষিতে প্রতি মাসে রাজু কাকলীকে ব্যবসার একটা লভ্যাংশ বাবদ প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা করে দিবে। এজন্য রাজু তার কথিত কোম্পানির প্যাডে একটা চুক্তিপত্র প্রদান করে এবং সেই সাথে কাকলীকে ২টি মানি রিসিড প্রদান করে (কপি সংযুক্ত)। এক পর্যায়ে রাজু ধানমন্ডি অফিস ছেড়ে গায়েব হয়ে যায়। এর পর থেকে ভুক্তভোগী বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে জানতে পারে রাজু বিভিন্ন লোক থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে,অভিযোগ কারী কাকলী পারভীন বলেন দেশ ও জনগনের স্বার্থে, লম্পট জালিয়াত ভন্ড রাজুর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে কঠোর শাস্তি দাবি করেন ।
বর্ণিত বিষয়ের আলোকে লুটেরা এই দেশ বিরোধী, রাষ্ট্রদ্রোহী, দুর্নীতিবাজ শাহজাহান ভূইয়া রাজু গংরা প্রতি বছর অনুষ্ঠানের আড়ালে স্বর্ণ চোরাচালান ও নারী এবং মাদক ব্যবসা করে দেশের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাকি দিয়ে দেশী-বিদেশী শিল্পীদের নামে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও বিজনেজ এ্যাওয়ার্ড এবং বিভিন্ন মেলার নামে প্রতারণা করে আসছে, এগুলো বন্ধ করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ রইল।